Outlinebangla Desk: সারাবিশ্বে করোনা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। কোভিড বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাত্র ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সারাবিশ্বে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও অব্যাহত ভারতে। যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) কোভ্যাক্স প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা জুন মাসের মধ্যে অন্তত ১৯ কোটি টিকার ডোজ কম পড়বে।
হু, ইউনিসেফ সহ আরও দুটি সংগঠন যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘যে সব দেশে টিকাকরণ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, সেখানে সংক্রমণ কমতে দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে। পুরনো স্বাভাবিক জীবন ফিরছে কোথাও কোথাও। কিন্তু যদি গোটা বিশ্বের ছবিটা ভাবা হয়, তা হলে কিন্তু ভয় পাওয়ার মতো কারণ আরও বাড়ছে।’’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিকাকরণে যে অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে সেখানে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটবে। যার ফলে ভাইরাসটিকে নির্মূল করা যাবে না। সেই দিক থেকে ভারতের পরিস্থিতি খুবই জটিল। অন্যদিকে টিকাকরণের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, টিকা নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয়,গরিব-ধনী সবাই যাতে সমানভাবে টিকা পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কিন্তু সেইভাবে কার্যকর হয়নি এই উদ্যোগ। যার ফলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ প্রভাবে গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত। টিকা সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভারতে মারাত্মক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কোভ্যাক্সে। জুন মাস শেষের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার থেকে অন্তত ১৯ কোটি ডোজ় কম পড়বে।’’ কোভ্যাক্স এর অন্যতম টিকা সরবরাহকারী ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। তবে আরও কিছু টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে চুক্তি হয়েছে। সেখান থেকেও প্রতিষেধক আসবে। হু এর মতে বর্তমানে টিকার যে অভাব রয়েছে তা দূর করতে পারলেই সঙ্কট কাটতে পারে।