Outlinebangla Digital Desk: বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, ধূমপান করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের শুধু কোভিড নয়, আরও মারাত্মক জটিল রোগ হতে পারে।
ধূমপানের ফলে ফুসফুসের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। অ্যান্টিবডির উৎপাদন ব্যাহত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস মূলত ফুসফুসে আক্রমণ করে। যার ফলে ফুসফুসের ক্ষতি হয়।তাই করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের মাত্রা ধূমপায়ীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি হয়। ধূমপান বন্ধ করার জন্য সারা বিশ্বে ধূমপান বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একটি বিবৃতিতে হু প্রধান বলেছেন, ‘‘ধূমপায়ীদের কোভিড-১৯ থেকে যে কোনও গুরুতর অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বেশি থাকে। তাই করোনা থেকে বাঁচতে সবথেকে ভাল যে কাজটি ধূমপায়ীরা করতে পারেন তা হল ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। এর ফলে ক্যানসার, হৃদরোগ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুখের ঝুঁকিও কমবে।’’
Today is #WorldNoTobaccoDay! 🚭
The #COVID19 pandemic has led to millions of tobacco users saying they want to quit.
Join communities of quitters and commit to quit today 👉https://t.co/otu6PR8BIp pic.twitter.com/e9QObUQiUL
— World Health Organization (WHO) (@WHO) May 30, 2021
হু প্রধান তামাক মুক্ত সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলার এই প্রচারে সবাইকে অংশ নিতে বলেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ‘কমিট টু কুইট’ কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাস ধরে সবাইকে ধূমপান ছাড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হবে। এদিকে ভারতে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৭ সালের ৩১ মে প্রথম ধূমপান বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে। এরপর প্রতিবছর ৩১ মে সারা বিশ্বে বিশ্ব ধূমপান বিরোধী দিবস পালন করা হয়। এইদিনটির মূল লক্ষ্য তামাক মুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা।