Outlinebangla Digital: ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মোদি সরকার তার মন্ত্রিসভার রদবদল করলেন। বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে সম্পন্ন হলো নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।এইদিন মোট ৪৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শপথ নেন। এদের মধ্যে ৭ জন আগে প্রতিমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাঁদের পদোন্নতি হয়েছে। পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন নতুন ৮ জন। বাকিরা একবারে নতুন মুখ।
মোদির ক্যাবিনেটে যুক্ত হয়েছে বাংলার ৪ সাংসদ। তাঁরা সকলেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার হলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বনগাঁর সাংসদ তথা মাতুয়া পরিবারের সদস্য শান্তনু ঠাকুর বন্দর জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব।
অন্যদিকে, কয়েকজন হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রমেশ পোখরিয়াল। বেশ কয়েকটি মন্ত্রকের দায়িত্ব অদল বদল করা হয়েছে। হর্ষ বর্ধন ইস্তফা দেওয়ার পর নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন মনসুখ মান্ডব্য। সমবায় মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল অমিত শাহকে। বিসিসিআই এর প্রাক্তন সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর পেলেন ক্রীড়া ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব।
নতুন শিক্ষামন্ত্রী হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। রেল মন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। তার বদলে নতুন রেলমন্ত্রী হলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। পীযূষ গোয়েল হলেন বস্ত্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী হলেন স্মৃতি ইরানি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং নিজেই দেখবেন।জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পেয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের দায়িত্ব। আবাসন, নোরণ্নয়ন ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন হরদীপ সিং পুরী।