আউটলাইন বাংলা হেল্থ ডেস্কঃ পিরিয়ডের আগে হোয়াইট ডিসচার্জ বা লিউকোরিয়া হয় সব মহিলারাই। কিন্তু অতিরিক্ত হোয়াইট ডিসচার্জ হওয়া কোনোভাবেই শরীরের পক্ষে ভালো নয়। আর এই সমস্যায় বেশি ওষুধ খাওয়াও উচিত নয়। তাই একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে ঘরোয়া উপায় লিউকেরিয়া কমানোই শ্রেয়।
কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে হোয়াইট ডিসচার্জ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন জেনে নিন-
নিম পাতা-
নিম পাতার অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান আপনার যোনির ইনফেকশন নির্মূল করে লিউকোরিয়া সারিয়ে তোলে। আপনার হাতের একমুঠ নিম পাতা কিছুটা জলেতে নিয়ে সিদ্ধ করুন, এরপর এই জল ছেঁকে ঠাণ্ডা করে দিনে একবার আপনার যোনি ধুতে ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চালিয়ে যান।
বেদানা-
স্বাস্থ্যকরী এই ফল আপনার লিউকোরিয়ার সমস্যা সমাধানে খুব কাজ করে। প্রতিদিন একগ্লাস ফ্রেস বেদানাজুস গ্রহণ করুন এক মাসের জন্য। আশা করা যায় আপনার এই শারীরিক সমস্যার সহজ সমাধানে এটি খুব ভালো কাজ করবে। আপনার রোগ শরীরে পুষে রাখবেন না। লিউকোরিয়া এমন একটি রোগ যা নারীর শরীরে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে তাই এখন থেকে সচেতনভাবে এই সমস্যার প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।
কলা-
লিউকোরিয়া রোধে কলা খুব উপকারী ফল। আপনার লিউকোরিয়ার সমস্যা প্রতিরোধে দিনে দুইটি করে পাকা কলা খান। কলা খাওয়া চালু রাখুন ততদিন পর্যন্ত যতদিন না আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় নাজেহাল? নিমিষেই দূর করুন এই সমস্যা
মেথি বীজ-
মেথি বীজ যোনির পি এইচ লেভেল বাড়িয়ে তুলে লিউকোরিয়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবংরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক চা চামচ মেথি বীজ রাতে জলেতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জলটুকুতে হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। মেথি বীজ অন্যভাবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। দুই চা চামচ মেথি বীজ চার কাপ জলেতে ফুটিয়ে নিন, এরপর জল ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই জল দিয়ে আপনার যোনিপথ দিনে দুই থেকে চার বার ধুয়ে পরিষ্কার করুন। এভাবে এটির ব্যবহার চালিয়ে যান যতদিন না আপনি প্রতিকার পাচ্ছেন।
আমলা-
আমলার ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ইনফেকশন উপাদান লিউকোরিয়া প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। এক চা চামচ শুকিয়ে যাওয়া আমলার পাউডার এক কাপ জলেতে নিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষন না এটি অর্ধেকে নেমে আসে। এরপর এই মিশ্রণে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য এটি এক মাস খেতে থাকুন।
ঢেড়স-
লিউকোরিয়ার প্রতিকারক হিসেবে ঢেঁড়সের তুলনা হয়না। ১০০ গ্রাম ঢেঁড়স উত্তমরূপে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। হাফ লিটার জলেতে এই ঢেঁড়স জ্বালাতে থাকুন যতক্ষণ এটি ফুটে অর্ধেকটা না হয়। এরপর জলটুকু ছেঁকে নিয়ে তিনভাগে ভাগ করে নিন এবং দিনে তিনবার এতে একটু মধু মিশিয়ে পান করুন। যতদিন না আপনার সমস্যার উন্নতি না হচ্ছে এভাবে এটি খেতে থাকুন।
তবে, অবশ্যই অতিরিক্তি সমস্যায় গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।