Outlinebangla: সম্প্রতি আমাদের দেশের কয়েকটি জায়গায় অ্যাডেনোভাইরাসের (Adenovirus) সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাই আমাদের দেশের মানুষজনকে এই ভাইরাস এর হাত থেকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ এই রোগটি ছোঁয়াচে। নাম শুনে নিশ্চয় এতক্ষনে বুঝে গেছেন এর আসল কারণই ভাইরাস (Adenovirus। আমাদের শরীরের রোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০ ধরণের অ্যাডেনোভাইরাস ভাইরাস দায়ী (Adenovirus)।
অ্যাডেনোভাইরাসের লক্ষন (Symptoms of adenovirus):
যারা শারীরিক দিক থেকে স্ট্রং তাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পাঁচ ছয় দিন পর থেকেই গলাব্যাথা, মাথাব্যাথা, নাক দিয়ে জল পড়া, জ্বর, কাশি হতে শুরু করে দেয়। কয়েকজনের আবার পেটব্যথা, বমি, চোখ লাল, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ গুলিও দেখা যায়। অনেক্ষত্রে নিউমোনিয়া, মস্তিস্কের সংক্রমণ, ফুসফুসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Suicide and Mental Health: কোন ভিটামিনের অভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা জন্ম নেয়? জানুন…
কাদের মধ্যে বেশি লক্ষ্যনীয়:
সাধারণত এই ভাইরাসের আক্রমণের উপদ্রব বেশি হয় শীতকালে এবং বসন্তকালে (Adenovirus)। এটি সববয়সের মানুষদের মধ্যেই লক্ষ্য করা যেতে পারে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাদের ইমিউনিটি পাওয়ার কম এবং ১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগটি বেশি আক্রমণ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ Regular health checks: একদম অবহেলা করবেন না, এই ৫ উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত যান চিকিৎসকের কাছে
প্রতিকার:
অনেকসময় চিকিৎসা না করালেও অ্যাডেনোভাইরাস (Adenovirus) হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। এরজন্য পরিমানমতো জল পান করতে হবে সময়মতো স্বাস্থকর খাবার দাবার খেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হন তাহলে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হতে পারে। এই সমস্ত রোগীদের জন্য আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে কারণ এদের যেকোনো সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। অ্যাডেনোভাইরাস ভাইরাসের (Adenovirus) হাত থেকে রক্ষা পেতে যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীদের জন্য এই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। তবে এই ভ্যাকসিনটি দুই ধরণের ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ Mosquito Bite: এত মানুষের ভীড়ে মশা কেন খুঁজে খুঁজে আপনাকেই কামড়ায়!
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়:
কোন ব্যাক্তি অ্যাডেনোভাইরাস (Adenovirus) ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার প্রথম কাজ হবে সুস্থ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই বাইরে না বেরোনো। হাঁচি কাশির সময়ে মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বারবার। যতটা পারবেন মানুষজনের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন প্রয়োজনে কয়েকদিন একা একা থাকুন। অর্থাৎ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেকে পরিষ্কার পরিছন্ন রেখে এই ভাইরাস (Adenovirus) থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়। উপরের নিয়ম গুলো অতি সহজ সাধারণ হলেও অত্যন্ত কার্যকরী যাকে বলা হয় যে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়।