Outlinebangla Desk: করোনার সংক্রমণ রোগের ভ্যাকসিন হল একমাত্র হাতিয়ার। সারা দেশে ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়ে গেছে। এতদিন ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে দেওয়া হয়েছে। এবার এর সাথে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই পাবে ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। যেমন জ্বর, গায়ে হাতে ব্যথা গায়ে, ক্লান্তি ইত্যাদি যা খুবই সাধারণ। কিন্তু এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাচ্ছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি শরীরের জন্য ভালো। এগুলি দেখেই বোঝা যায় প্রতিষেধক শরীরে ঠিকভাবে কাজ করছে। আরও জানিয়েছেন, যে কোনও রোগের প্রতিষেধক মৃত বা কমজোরি ভাইরাস দিয়ে তৈরি হয়। সেটি শরীরে যাওয়ার পর ভাইরাসের মত কাজ করতে শুরু করে। এরপরই তার সঙ্গে লড়াই করতে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। যার জন্যই এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলি দেখা যায়।
এইগুলি খুবই স্বাভাবিক। এর ফলে শরীরে যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয়ে থাকবে, তা যখন আসল ভাইরাস শরীরে ঢুকবে তার বিরুদ্ধে দ্রুত লড়াই করতে পারবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে তা থেকে রেহাই এর পথও বলেছেন বিশেজ্ঞরা। টিকা দেওয়ার জায়গায় খুব ব্যথা করলে বরফ লাগানো যেতে পারে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সঙ্গে রাখা ভালো। টিকা নেওয়ার আগে ও পরে বেশি করে জল ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
অবশ্য করোনার টিকা নেওয়ার পরেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আসলে প্রতিষেধক ভাইরাস মুছে দিতে পারবে না বরং শরীরে সেটার প্রভাব কমাতে পারে।