Outlinebangla Desk: করোনা মহামারীতে বহু মানুষ তাঁদের জীবিকা হারিয়েছেন। ফলে রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়েছে। গত বছর থেকে করোনার প্রকোপে বিধ্বস্ত মানুষ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউনের পথে হাঁটে কেন্দ্র। দোকান বাজার সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে একদিকে মানুষের সঞ্চয় কমছে। কিন্তু অন্যদিকে বাড়ছে ব্যক্তিগত ঋণের বোঝা। বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল-জুনে গৃহস্থের সঞ্চয়ের হার ছিল জিডিপি-র ২১%। কিন্তু লকডাউনের পর জুলাই-সেপ্টেম্বরে কমে তা ১০.২% হয়। অক্টোবরে তা আরও কমে ৮.২% নেমে আসে। ব্যাঙ্কে টাকা জমার হারও ৭.৭% থেকে নেমে ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ায় সঞ্চয়ের পরিমাণও কমছে।
এইভাবে সঞ্চয়ের হার কমতে থাকায় উদ্বিগ্ন অর্থমন্ত্রক। তাঁর মতে, সঞ্চয়ের পরিমাণ কমতে থাকলে শিল্পের জন্য ঋণ জোগাতে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে। অন্যদিকে সঞ্চয়ের হার কমলেও বাড়ছে ব্যাঙ্ক থেকে ধার করার মাত্রা। গৃহস্থের দেনার হার গত বছরের জুলাই -সেপ্টেম্বরে ছিল ৩৭.১ শতাংশ, যা অক্টোবর-ডিসেম্বরে বেড়ে হয় ৩৭.৯ শতাংশ।