Outlinebangla: কথায় আছে বিয়ে (Marriage) হলো জন্ম জন্মান্তরের বন্ধন একবার এই বাঁধনে বাধা পড়লে বেরোনো মুশকিল। তাই হটকারিতার মধ্যে কখনোই বিয়ের (Marriage) সিদ্ধান্ত নেবেন না, একটু ভেবে চিন্তে তারপর স্থির করবেন নয়তো একটু ভুল হলেই একসাথে দুটো জীবন নষ্ট। তবে এটা ঠিক যে কোনো মানুষকে পুরোপুরি চেনা-জানা সম্ভব নয়।তাই আপনাকে কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই বিষয়টি সামলাতে হবে। তবে কয়েকটি বিষয়ে একে অপরের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এই কয়েকটি ব্যাপার সম্পর্কে সঠিক ধারণা আপনাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ বয়ে আনতে পারে। চলুন জেনে নি কি সেই বিষয় গুলি
বিয়ের জন্য প্রস্তুত?
বিয়ের পিঁড়িতে (Marriage) বসার আগে মানসিকভাবে ও আর্থিকভাবে নিজেরদের তৈরী করা ভীষণ জরুরি। বিয়ের আগে একে অপরকে জিজ্ঞেস করে নিন এই বিষয়ে কারোর কোনো দ্বিধা আছে কিনা যদি থাকে সেটি নিজেরাই একসাথে অতিক্রম করার চেষ্টা করুন তারপরেই যদি সংশয় থাকে তাহলে কয়েকটাদিন একটু অপেক্ষা করুন, কখনোই মনের মধ্যে খুঁত রেখে বিয়ের জন্য রাজি হবেন না।
আরও পড়ুনঃ Women Health: আপনিও কি বিশ্বাস করেন? বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যায়!
কোথায় থাকবেন?
বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী একসাথে সুখে শান্তিতে সংসার করবে সেটাই স্বাভাবিক। বেশিরভাগ মেয়েই মনে মনে ভেবে রাখে তার নিজস্ব একটা ছোট্ট সংসার হবে আজকাল যৌথ পরিবারে থাকতে রাজি নন কেউ। তাই বিয়ের (Marriage) সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনাদের সংসার ঠিক কোথায় হবে সেটা পরিষ্কার করে জেনে নিন। এবিষয়ে ভাসা ভাসা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে পরে নিজেরাই অশান্তির মুখে পরবেন মাথায় রাখবেন সংসার করা কোনো ছেলেখেলা নয় যে, যায় হোক করলাম আর হয়ে গেলো।
আরও পড়ুনঃ কোন ধরনের নারী বিয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ,কি বলছে সনাতন শাস্ত্র!
কাজ ভাগাভাগি আজকালকার দিনে অধিকাংশ দম্পতিদের মধ্যে দুজনেই চাকুরীজীবি হয়ে থাকেন যে কারণে কোনো একজনের পক্ষে বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম করা সম্ভব নয়। মানুষ অনেক এগিয়ে গেলেও তাদের চিন্তাভাবনার সেরকম পরিবর্তন ঘটেনি তাই আজও অনেক পুরুষ সংসারের সমস্ত কাজ মেয়েদের কাজ, এমন ভ্রান্ত ধারণা মনে পুষে রেখেছে, পুরুষদের এই ইগো এখনো তাদের মনে বাসা বেঁধে রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিয়ের পর জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। তাই আগে থেকেই সঙ্গীর সাথে বোঝা পড়া করে নিন কাজ ভাগাভাগি করার ব্যাপারটি নিয়ে অর্থাৎ কে কোন কাজটি করবেন, কতটুকু করবেন এইসব।
আরও পড়ুনঃ What kind of girl you should marry: কোন নারীকে বিয়ে করলে অধিক সুখী হবেন, রোগা ফিট-ফাট নাকি গোলগাল !
ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্নঃ
বর্তমান প্রজন্মের ছেলে হোক বা মেয়ে উভয়ই নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। তারা তাদেরকে ক্যারিযার নিয়ে অনেক স্বপ্ন সাজিয়ে রাখে ছোট থেকেই। তাই আপনার হবু সঙ্গী ক্যরিয়ার, এককথায় যেটা কে আমরা কর্মজীবন পরিকল্পনা বলে থাকি সেটা নিয়ে ঠিক কি ভেবে রেখেছেন তা জানার চেষ্টা করুন। এখানে বলা হচ্ছে একে অপরের ক্যরিয়ার তৈরিতে কোনো বাধা আছে নাকি সেটা বিয়ের আগেই জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে ভবিষ্যতে কোনো রকম সমস্যার সামনে পড়তে না হয়।
মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুনঃ
আপনার পছন্দ এবং আপনার সঙ্গীর পছন্দ এক কিংবা ভিন্ন যায় হোক না সেটা আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন সেটা যাচাই করে নিন। আবার অনেকের মানসিকতায় থাকে অন্য পুরুষ বা অন্যনারীতে আসক্তির ব্যাপার যেটা অর্থাৎ পরকীয়া বিষয়টি কখনোই হটাৎ জন্মানো বিষয় না, তাই এরকম মানসিকতা আছে কিনা সেটা দেখে নিতে ভুল যেন না হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কে বেশি একটিভ কে কম একটিভ অনেকেই পছন্দ করে আবার অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সব কিছু শেয়ার করা পছন্দ করেন না এটি বিয়ের পর ঝামেলা হওয়ার এক চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আগে থেকে মানসিক অবস্থা বুঝে নিন তারপরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসুন।
চিন্তাগত মতপার্থক্যঃ
বিয়ের আগে ভালো করে জেনে নিন সঙ্গী ঠিক কিরকম ভাবে সংসার করতে চাই। আপনি হয়তো গতানুগতিক রীতি অনুসারে আর পাঁচটা সংসারের মতো সুন্দর একটি সংসার পাতার পরিকল্পনা করছে মনে মনে। উল্টোদিকে আপনি চান অবাধ স্বাধীনতা আপনি একঘেয়ে সংসার করতে ইচ্ছুক নন। একাধিক রাস্তা ধরে যেমন গন্তব্য স্থলে পৌঁছানো যায় ঠিক সেরকমই চিন্তাগত মতপার্থক্যর জন্য আপনার সাংসারিক জীবনে ঝড় বয়ে আনতে পারে।
উপরের নিদিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা আপনাদের দাম্পত্য জীবনে অনেক ঝুট ঝামেলার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে, আপনাদের সুখী দাম্পতের কারণ হয়ে উঠবে। তাই বিয়ের আগে অবশ্যই সঙ্গীর সাথে আলোচনা করে তবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসুন।