আউটলাইন বাংলা: জীবনে সফলতা পাওয়া অত সোজা নয়। চলার পথে বিভিন্ন ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। বিভিন্ন বিপত্তি কাটিয়ে তবেই আসে সফলতা (Successful people in the world)। ছোট থেকে বড় সব মানুষের জীবনের কাহিনী আলাদা হলেও সবাই সফলতা পেয়েছেন ব্যর্থতা অতিক্রম করেই। আপনাদের জন্য রইল এরকমই চার জন বিখ্যাত মানুষের কথা যা আপনার কাছে হয়ে উঠবে অনুপ্রেরনা।
স্টিভ জবস (Apple):
স্টিভ জবস অনেকের কাছেই আইকন। তাঁর একের পর এক নতুন চিন্তা ভাবনা প্রযুক্তির ধারনা বদলে দিয়েছে। এই সফল মানুষটির জীবনেও রয়েছে ব্যর্থতার কাহিনি। তিনি সেই ব্যর্থতার মোকাবেলা করেছিলেন (Successful people in the world)। খুব কুম সময়ের মধ্যেই অ্যাপেল সাফল্য পেয়েছিল এবং নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল। স্টিভের বয়স তখন খুবজোর ৩০ বছর হবে। এমন সময় ‘অ্যাপল’-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরস তাকে বের করে দিলো। বলা যায় তাঁর নিজের কোম্পানি থেকে তাঁকেই বের করে দেওয়া হলো। তবে এই ব্যর্থতা জবসকে বিচলিত করেনি, বরং অনুপ্রেরনা জুগিয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন ‘নেক্সট’ নামক এক নতুন সংস্থা যেটি পরে অ্যাপেলকেই কিনে নিয়েছিল। এরপর জবস অ্যাপেলকে আবার নতুন ভাবে গড়ে তুললেন।
ওয়াল্ট ডিজনি (Walt Disney Studios):
বিংশ শতাব্দীর বিশ্বের অন্যতম এই সৃজনশীল ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল তাঁর সৃজনশীলতার অভাব আছে। জীবন কেটেছে বিভিন্ন অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে। ডিজনি ঠিক করেলেন নিজেই চেষ্টা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন তিনি। শুধু বই পড়ে আয়ত্ত করে ফেললেন অ্যানিমেশনের খুঁটিনাটি। নিজে একটি অ্যানিমেশনের স্টুডিও খুলেছিলেন কিন্তু সেটি বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। তারপর তিনি কাজ খুঁজতে যান হলিউডে, সেখানেও তাঁর ভাগ্যে জোটে তিরস্কার। শেষমেশ তিনি তাঁর সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি, নৈপুণ্য দিয়ে গোটা বিশ্ববাসীর মন জয় করেন। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম স্টুডিও হল ডিজনি ফিল্ম স্টুডিও।
বিখ্যাত এই মানুষ গুলির জীবনের কাহিনী আমাদের চলার পথে অক্সিজেন, কঠিন মুহূর্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। হাল না ছেড়ে আমাদের লড়াই করে যেতে হবে। ব্যর্থতার ওপারেই আছে সাফল্য।
মিল্টন হার্শি (Hershey’s Chocolate):
এখন হার্শি’স চকোলেটের বিশ্বব্যাপী জয়জয়কার। যে কোনো কফির দোকানে গেলে আপনি নিশ্চিত দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না এই ভদ্রলোক তিন-তিনবার কোম্পানি খুলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন (Successful people in the world)। এক ছাপাখানা থেকে বহিস্কৃত হয়ে তিনি যখন ক্যান্ডি প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু করেন, তখন তার কিছুই ছিল না। শেষে ব্যর্থ হয়ে ভাবলেন হাল ছেড়ে দেবেন, শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি শুরু করলেন ‘ল্যানকেস্টার ক্যারামেল কোম্পানি’, এবং সেখান থেকে কিছুটা সফলতা পেতে শুরু করেন। তিনি বুঝলেন মানুষের কাছে দুধেল চকোলেটের চাহিদা আছে। ‘দা হার্শি কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা পেল। এখন বিশ্বের ৬০টির ও বেশি দেশে এই কোম্পানির শাখা রয়েছে।
বিল গেটস (Microsoft):
এই লোকটির কাহিনি অনেকেরই জানা। বিল গেটস এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনি ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, কিন্তু তার এই সাফল্যের পথ মধুর ছিল না। প্রথম ‘ট্রাফ-ও-ডাটা’ কোম্পানির ব্যর্থতা থেকে মাইক্রোসফটের সাফল্য, এ এক বিরাট অধ্যায়। তবে এই কোম্পানির এত বড় সাফল্যের মুল মন্ত্রই হল হার্ড ওয়ার্ক। যা বার বার প্রমান করে যারা চেষ্টা করে তারা কখনোই ব্যর্থ হন না। ১৮-২০ বছরের এই ছেলেটি রতের পর রাত কাজ করে কখন টেবিলের নিচে শুয়ে পড়তেন তা অফিসের অন্য রা জানতেও পারত না। অনেক সময় তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে অনেকে ভাবতেন তিনি হয়তো বাইরে আছেন। তিনি তখন কাজ করে ক্লান্ত, নীচে চেয়ারের পাসে মেঝেতে শুয়ে পড়েছেন। ফল স্বরুপ আজকের বিল গেটসকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।