আউটলাইন বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীর এক বড় সত্যি খিদে, তা নিয়ে গবেষণাও হয়েছে বিভিন্ন ভাবে ৷ সেই কারণ ধ্বংসের লক্ষেই কাজ করে সম্মানিত বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প (World Food Programme) ৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে উত্তর কোরিয়া- গোটা বিশ্বের অগণিত মানুষের দুবেলা দুমুঠো খাবারের সমাধান করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই প্রকল্প ভূষিত নোবেল শান্তি পুরস্কারে ৷
বিগত কয়েকদিন ধরেই একের পর এক বিভাগে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। শুক্রবার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ারওম্যান বেরিট রিস-অ্যান্ডারসেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে খিদেকে ৷ ক্ষুধা নিবৃত্তি ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প ৷ কোটি কোটি অভুক্ত মানুষের মুখে খাবার যুগিয়েছে প্রকল্প ।‘
শুধু ২০১৯ সালেই ৮৮টি দেশের ৯.৭ কোটি মানুষকে ১৫০ কোটি রেশন যুগিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই প্রকল্প ৷ ১৯৬১ সাল থেকে কাজ করে আসা এই প্রকল্প নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের আশা এবং লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে ক্ষুধাদূরীকরণ ৷
অ্যান্ডারসেন ক্ষুধার্তের মুখে খাদ্যতুলে দিতে এই সংস্থায় মুক্তহস্তে অর্থদানের আর্জিও করেছেন। চেয়ারওম্যান এদিন বলেন, গোটা বিশ্বে অভুক্ত থেকে খালি পেটে দিন কাটাচ্ছে কোটি কোটি মানুষ ৷ সে দিকে আরও বেশি করে নজর ঘোরাতে এবং গোটা বিশ্বের সামনে সমস্যাটি উপস্থাপন করতে এ বছর বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কৃতিত্বকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোবেল কমিটি ৷