Outlinebangla: ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। কখনও কখনও তা অনাবিল হয়ে ধরা দেয় বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর মধ্যেও। তাইতো আজও কিছু মানুষ পশু পাখিদের মধ্যে ভালোবাসাকে খোঁজে বেড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় ১০,০০০ এর বেশি প্রজাতির পাখির অস্তিত্ব বর্তমান। ভারতের পাশাপাশি প্রায় সব দেশেই নানানরকম পাখির দেখা মেলে। পাখিদের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে পোষ্য হোক বা পারিযায়ী সমস্ত পাখিই সামাজিক জীব (Most Beautiful Birds)। তবে পরিযায়ী পাখিরা প্রত্যেক বছর একটা নিদিষ্ট সময়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে উড়ে চলে যায়। পাখিরা নিজেদের মধ্যে দৃষ্টি সংকেত, শীষ এবং ডাকের মাধ্যমে কথোপকথন করে থাকে (Most Beautiful Birds)। পাখির সুন্দর রূপ এবং রঙ আমাদের দেশে অধিক চৰ্চিত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম। আমাদের পৃথিবীতে এমন কয়েকটি পাখি রয়েছে যাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ বাধ্য হবেন আপনিও, পাশাপাশি এদের অতুলনীয় কিছু গুন যা অনান্য পাখিদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। এরকমই রূপ এবং গুনে পরিপূর্ণ পাঁচটি সুন্দর পাখির কথা (Most Beautiful Birds) আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।
Most Beautiful Birds
Peacock: আমাদের দেশের জাতীয় পাখি ময়ূর। আর এটা জেনে আপনিও গর্বিত হবেন যে সুন্দর পাখির তালিকায় ময়ূরের স্থান অন্যতম। ময়ূরকে আমরা বর্ষার রানী বলেই চিনি। সাধারণত বর্ষাকালেই ময়ূরেরা প্রজনন করে থাকে। সবুজ এবং নীল মূলত দুই রকমের ময়ূর লক্ষ্য করা যায় এশিয়া মহাদেশে, কিন্তু কখনো কখনো সাদা ময়ূর ও দেখা যায় জিনগত কারণে। ময়ূর সর্বভুক তালিকাভুক্ত প্রজতি। ময়ূরেরা মাটির নিচে গর্ত তৈরী করে তারপর সেখানেই বাস করে। ময়ূরের বড়ো বড়ো ছুঁচালো নখ শত্রু দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এশিয়া মাহাদেশে সর্বভুক ময়ূরের সংখ্যা দিন দিন প্রায় বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব থেকে বিলুপ্তির পথে এই পাঁচ প্রাণী, হুমকির মুখে আরও অনেক প্রজাতি
Golden Pheasant: প্রাচীন গ্রিক শব্দ ‘খরাসোলেফাস ‘ থেকে আগত গোল্ডেন ফিজ্যান্ট নামটির অর্থ হলো’ আঁকা’। গোল্ডন ফিজ্যান্ট গুলো ৯০-১০৫ সেমি লম্বা হয় এবং এদের শরীরের আকৃতির দুই তৃতীয়াংশ দৈর্ঘ্য এদের লেজের সমান। চিনের বনাঞ্চলে এই পাখিগুলোকে দেখতে পাওয়া যায়, সেখানকার মানুষ খাদ্য হিসাবেও গ্রহণ করে এই পাখির মাংস। পুরুষ গোল্ডেন ফিজ্যান্ট এর ওজন মোটামুটি ১.৪ কেজি এবং মহিলা ফিজ্যান্ট গুলো মোটামুটি ১.২ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। এদের সঙ্গমকালে এদের ঘাড়ে একধরণের সুন্দর কমলা কেপ লক্ষ করা যায়। প্রত্যেক মরসুমে ৩৫ টির ও বেশি ডিম দিতে পারে স্ত্রী গোল্ডেন ফিজ্যান্ট গুলি।
পৃথিবীতে এমন কয়েকটি পাখি রয়েছে যাদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ বাধ্য হবেন আপনিও
Scarlet Macaw: ম্যাকাও প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এবং আকারে বৃহৎ এই স্কারলেট ম্যাকাও পাখি। এর শক্তিশালী বাঁকানো ঠোঁট, লাল নীল হলুদের মতো উজ্জ্বল রঙ গুলোর বাহারে এই পাখির রূপ দেখে মুগ্ধ হতে বাধ্য সকলেই। তার উপর হলুদ সবুজ রঙের লেজ আরও আকর্ষণীয় করে তোলে পাখিটিকে। এই পাখিগুলি হবুহ মানুষের মতো কথা বলতে পারে। অন্যান্য পাখিদের তুলনায় এই পাখিগুলি তুলনামূলক অনেকটাই বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারে এরা প্রায় ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। দক্ষিণ পূর্ব মেক্সিকো, বলিভিয়ায় এই সমস্ত পাখির দেখা মেলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে উড়তে পারা এই পাখিকে বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি হিসেবে বিবেচিত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিপন্ন প্রাণী তালিকায় এবার হাতি, সিংহ, গণ্ডার
Blue Jay: শরীরের বেশিরভাগ অংশ নীল হওয়ায় এবং এই পাখি যখন ডাকে তখন জে জে বলে ডাকে তাই এই পাখির নাম ব্লু জে দেওয়া হয়েছে। এই পাখিগুলো অন্য যেকোনো পাখির ডাক নকল করতে পারে এর ফলে অন্য পাখিরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। এমনকি ঈগলের ডাক নকল করে এরা অন্য পাখিদের ভয় দেখায় এরকমটাও জানা যায়। সাদা কালো ও নীল রঙের মিশ্রনে সজ্জিত এই পাখিটিকে সাধারণত পূর্ব মধ্য আমেরিকার বনাঞ্চল গুলিতে দেখা যায়।
Flamingo: কমলা রঙে পরিপূর্ণ সুন্দর ফ্ল্যামিংগো নামক এই পাখিটি আন্টাকর্টিকা ছাড়া অন্য যে কোনো দেশেই আপনি দেখতে পাবেন। প্রতিঘন্টায় ৫৬ কিমি পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। এই পাখিটিকে ‘ওয়েডিং বার্ড’ নামে ডাকা হয়। একটি প্রাপ্তবয়স্ক ফ্ল্যামিংগো দৈর্ঘ্য প্রায় ৪-৫ ফুটের কাছাকাছি এবং ওজন ৩ কেজি পর্যন্ত হয়। এরা কাদা থেকে ছোট ছোট মাছ, প্ল্যাংকটন ধরে ধরে খাই এবং এদের লম্বা গলা এগুলো খেতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ Pets have a magic effect: মন ভালো রাখতে বাড়িতে রাখুন পোষা প্রাণী