Outlinebangla Desk: রিন্টু পাঁজা, তারাপীঠ: করোনার দ্বিতীয় ঢেওএ বিপর্যস্ত গোটা দেশ। তার প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। একে একে বন্ধ হয়েছে সব সামাজিক অনুষ্ঠান। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই হাতের মধ্যে। তবে দৈনিক সঙ্ক্রমন কমলেও চিন্তা বাড়িয়েছে মৃত্যু হার।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাইরাসের গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী হাওয়ায় সরকারি বিধি নিষেধ কে মান্যতা দিয়ে গত ১৫ই মে থেকে তারাপীঠ মন্দির বন্ধ ছিল। দীর্ঘ একমাস মন্দির বন্ধ থাকার পর করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার জামাইষষ্ঠীর দিন খুললো তারাপীঠ মন্দির। তবে পুণ্যার্থীদের জন্য জারি থাকবে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে, বিগ্রহ কে স্পর্শ করা যাবে না, সামনে চরণ থাকবে সেখানে প্রণাম করতে হবে পাশাপাশি মন্দিরের গর্ভগৃহে কোনরকম সেলফি তোলা এবং ভিডিও কল করা যাবে না।
বর্তমানে যেহেতু বাস ট্রেন বন্ধ তাই এদিন বহিরাগত দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম, হাতেগোনা কয়েকজন স্থানীয় দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। এদিন মন্দির খোলায় খুশি মন্দির কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হোটেল থেকে শুরু করে পূজোর সামগ্রী বিক্রেতারা। তবে তারাপীঠ মন্দিরের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এবং তা মূলত বাস ট্রেনের উপর নির্ভর করেই, ৫১ পীঠের বিশেষ এক পীঠ এই তারাপীঠ মন্দির খুবই জাগ্রত বলে মানা হয়। তারাপীঠ শ্মশান সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনক্ষেত্র। তাই বাস ট্রেনে না চললে খুব বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থীদের আগমন হবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে।