নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রিন্টু পাঁজা, বীরভূমঃ সিউড়ি শহরে ৫০ জনেরও বেশি হকারের হাতে তুলে দেওয়া হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের সম্মুখে। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক গোপীনাথ চৌধুরী জানান ভগৎ সিং, বিরসা মুন্ডা, মাস্টারদা আদর্শে অনুপ্রাণিত ছাত্রদের সাথে নিয়ে আজ সিউড়ি শহরের ৫০ জনের ওপর হকারকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হলো। এরা প্রধানত বাড়ি বাড়ি সংবাদপত্র পৌঁছে দেয়, ঝাল মুড়ি চকলেট বিস্কুট বিক্রি করে বাসে ও ট্রেনে।
লকডাউন এর ফলে এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো হঠাৎ করে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষ মহামারির জন্য সংবাদপত্র নেওয়া বন্ধ করে দেন, এখনো অর্ধেকের বেশি মানুষ সংবাদপত্র নেওয়া চালু করেনি। তাই তাদের আয় এখন কমে গেছে। বহুদিন বন্ধ ট্রেন, কিছু সরকারি-বেসরকারি বাস চালু হলেও মানুষজনের সংখ্যা খুবই কম হওয়ার ফলে এই চকলেট বিস্কুট ঝাল মুড়ি বিক্রেতাদের আয় তলানিতে ঠেকেছে তাই আজ আমরা তাদের পাশে দাঁড়ালাম। তাদের হাতে আজ আমরা তুলে দিলাম মাস্ক, সাবান, আটা, চিনি, লবণ, মুসুর ডাল, মুগ ডাল, বরবটি কলাই, ছোলা বা বুট কলাই, সুজি, সয়াবিন, সরিষার তেল, বিস্কুট ইত্যাদি।
এই কাজ আমরা লকডাউন শুরু থেকেই করে যাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি থানা এলাকার ৩৫ তির বেশি গ্রামের ১৮০০ এর উপর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। আমাদের আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে আমাদের এই কাজে সহায়তা করেছে সিউড়ি বিদ্যাসাগর সহ অন্যান্য কলেজের ছাত্র, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা এবং সমাজের অসংখ্য মানুষ। ভগৎ সিং বিরসা মুন্ডা মাস্টারদা আদর্শে অনুপ্রাণিত ছাত্র যুবদের সাথে আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের বেশকিছু অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মী। শিক্ষক গোপীনাথ চৌধুরী জানান “প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী তুলে দেওয়ার সাথে সাথে আমরা মানুষজনকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবগত করছি এবং এই মহামারী থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টাও করছি আর এভাবে সকলকে সাথে নিয়ে সকলের পাশে থেকে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে চাই আমরা।”