রিন্টু পাঁজা, রামপুরহাট: মহামারীর জন্য রামপুরহাট শহরের মানুষ জন থেকে শুরু করে ছোট-বড় সমস্ত ব্যবসায়ীরা এমন জনমানব শূন্য বাজার শেষ কবে দেখেছেন তা কার্যত মনে করতে পারছেন না। বা বিগত কোনো বছর দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না তারা। সমস্ত দোকান খোলা, দোকানে সমস্ত মালপত্র সাজানো কিন্তু নেই কোনো ক্রেতা, নেই সেই আগের মত ভিড়।
রামপুরহাটের এই হাটতলা বাজার হচ্ছে রামপুরহাট শহরের প্রাণ কেন্দ্র যেখানে পুজোর আগে সকলেই আসেন জামাকাপড় থেকে শুরু করে জুতো সমস্ত কিছু কিনতে। হাট তলা বাজারে রয়েছে প্রায় কয়েকশো ব্যবসায়ী। বিগত কিছু দিন আগে গিয়েছে তারাপীঠে কৌশিকী আমাবস্যা, এই কৌশিকী আমাবস্যার পর থেকে রামপুরহাট শহরের প্রায় সমস্ত দোকানে ভীর জমতে শুরু করে। কিন্তু এই বছর কার্যত রামপুরহাট শহরের হাট তলা থেকে শুরু করে সমস্ত দোকানই খাঁ খাঁ করছে।
মহালয়ার বাকি আর কিছুদিন। তার পরে পুজোর শুরু হতে আর মাত্র দুটো মাস। বিগত বছর গুলিতে এই সময় বাজার গুলি তে শুরু হয়ে যায় পুজোর কেনাকাটা, রমরমিয়ে চলে কেনাবেচা। কার্যত ব্যবসায়ীরা দম ফেলার, খাবারের সময় টুকুও পান না ঠিক মত করে। কিন্তু করনার জেরে সে সব আজ অতীতে পরিণত হয়েছে। করোনার করাল থাবার গ্রাসে কেরে নিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সেই আঁচ পরেছে রামপুরহাট শহরের সমস্ত ব্যবসায়ীদের কপালে।
কবে ফিরবে আগের মত স্বাভাবিক ছন্দে, কবে নির্ভয়ে জীবন যাপন করবে মানুষ, বিগত বছরের মতো এবার কী সেই আগের মত ক্রেতা আসবে সেই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে।