Jagannath Snana Yatra: কুয়ো থেকে তোলা ১০৮ টি স্বর্ণ কলসির জলে স্নান করে ‘জ্বর’ হয় জগন্নাথদেবের

Outlinebangla Digital Desk: আমরা সকলেই জানি যেই গৌর, সেই কৃষ্ণ, সেই জগন্নাথ (Jagannath)। সংস্কৃত ভাষায় জগৎ-এর অর্থ বিশ্ব এবং নাথের অর্থ-ঈশ্বর। সুতরাং জগতের ঈশ্বর হলেন শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব। জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার (Jagannath Deber Snan Yatra) বিশেষ তিথিতে ভারতের ওড়িশা,পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশেও মহাসমারোহের সাথে উৎসব পালিত হয়। জেনে নিন এই বিশেষ উৎসবের খুঁটিনাটি।

জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনক্ষণঃ(Jagannath Snana Yatra)

এই বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পড়েছে ১৪ জুন অর্থাৎ ৩০ জ্যৈষ্ঠ, মঙ্গলবার।

স্কন্ধ পুরানে স্নান যাত্রার মাহাত্ম্যঃ(Jagannath Snana Yatra)

শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের রথযাত্রা সনাতন হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান উৎসব। হিন্দু শাস্ত্রে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমাকে দেবস্নানা পূর্ণিমা বলা হয়। স্কন্ধ পুরান মতে জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় শ্রী হরির স্নানযাত্রা দর্শনের মাধ্যমে অনায়াসেই জীব মুক্তি লাভ করতে পারে। জৈমিনি মুনি স্নান যাত্রার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ভগবান শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা (Jagannath Snana Yatra) দর্শন করলে জীব তীর্থ সমূহে় স্নান করার থেকেও শতগুণ অধিক ফল প্রাপ্ত হয়। তিনি আরও বলেন, স্নানযাত্রা দর্শন করলে জীবগণ ভবসাগর থেকে উদ্ধার লাভ করতে পারে, শুধু তাই না মানুষ আজন্ম যা পাপ করেছে তা বিনষ্ট হয়ে যায়।

জগন্নাথের স্নান যাত্রাঃ

স্কন্দপুরাণ অনুসারে, রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য কাঠের বিগ্রহ বা দেবমূর্তি স্থাপন করেন। তখন থেকে এই স্নান যাত্রার উৎসব শুরু। এক কথায় বলা চলে স্নানযাত্রার প্রবর্তক রাজা ইন্দ্রদুম্ন্য। স্নান যাত্রার আগের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবী এবং সুদর্শন দেবকে বিশেষ ভাবে তৈরি করা স্নান বেদীতে নিয়ে আসা হয়। জগন্নাথ দেবের স্নানের জল আসে বদ্ধ কুয়ো থেকে। এই কুয়োয় কখনো সূর্যের আলো পড়েনি। এই কুয়োর জল দিয়ে প্রস্তুত করা হয় ১০৮ ঘড়া জল। তারপর ১০৮ ঘড়া জল দিয়ে দেবদেবীর স্নান সম্পন্ন হয়। কথিত রয়েছে এই জলে স্নান করেই জগন্নাথ দেবের জ্বর আসে। তিনি গৃহবন্দি হন। রথযাত্রার আগের দিন পর্যন্ত বিশ্রাম নেন।

আরও পড়ুনঃ আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে পান পাতা! সাফল্য পেতে এই টোটকা প্রয়োগ করুন

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,919FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস