Outlinebangla: সামুদ্রিক শসা! নামটি শুনে সকলেই মনে মনে ভেবে নিয়েছেন যে এটা নিশ্চিত কোনো সামুদ্রিক গাছের ফল নয়তো বা সামুদ্রিক কোনো সবজি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সামুদ্রিক শসা (Sea Cucumber) উপরে উল্লিখিত কোনোটির একটিও না, আদতে এটি একটি প্রাণী! (Sea Cucumber)
সামুদ্রিক শসার (Sea Cucumber) কয়েকটি বৈশিষ্ট্যঃ
একাইনোডার্মাটা পর্বভুক্ত সামুদ্রিক শসা প্রাণীটির দেহ থেকে নিশ্রীত হয় একধরণের চিটচিটে আঠালো পদার্থ। যেটি সমুদ্রের জল এবং অন্যান্য নানান জীবদেহের সংমিশ্রনে আসার পর বর্ণিল রঙ ধারণ করতে শুরু করে দেয়। শসার মতো দেখতে এই প্রাণীটির শরীরে কোনো হাড়ের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না, তবে এটি আকারে বড়ো হয়ে থাকে। প্রায় ১২৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক শশার খোঁজ পাওয়া গেছে। লম্বায় ৪ ইঞ্চি থেকে ১০ ফুটের প্রাণীটি বাঁচে প্রায় ৫ থেকে ১০ বছর। তবে এর মধ্যে কিছু প্রজাতির মানুষ নিজেদের খাদ্য হিসেবে চাষ করে থাকে এটি। কোরিয়ার জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে সামুদ্রিক শশা অন্যতম। পাশাপাশি জাপানের ফিশমার্কেট গুলোতেও এটির চাহিদা রয়েছে। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে এশিয়ানদের খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক শসার অবস্থান শীর্ষে!
আরও পড়ুনঃ Sparrow: আজ আর নেই চড়ুইয়ের অট্টালিকার অহঙ্কার..

কোরিয়ায় যেভাবে সামুদ্রিক শসা (Sea Cucumber) খাওয়া হয়ঃ
কোরিয়ানরা প্রাণীটি কে পিস পিস করে কেটে সুশি তৈরী করে খায়। তবে এটি আঠালো হওয়ার কারণে পিস করে কেটে নেওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নেয়। অতিরিক্ত পরিমানে চটচট করলে তখন আর রান্নার ঝামেলা না করে সেদ্ধ করে লংকার পেস্টে বা জলে চুবিয়ে চুবিয়ে কাঁচায় খায়। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ লঙ্কা দিয়ে ঝাল ঝাল করে সামুদ্রিক শসা ভাজি খাওয়ার জনপ্রিয় পদ্ধতিটির প্রচলেন রয়েছে।

সামুদ্রিক শসার (Sea Cucumber) স্বাদ কেমন হয়ঃ
সামুদ্রিক শসা মুখে পড়লেই মনে হবে বড়ো কোনো মাছের নাড়ি ভুঁড়ি চিবোচ্ছেন নয়তো বা মাছদের থলথল চামড়ার মতো কিছু একটা খাচ্ছেন। এই প্রাণীটি খেতে চটচটে অর্থাৎ আঠালো প্রকৃতির। স্বাদের বৈশিষ্ট্য শুনে খারাপ ধারণা এলেও সামুদ্রিক শসাকে মোটেও অখাদ্য কুখাদ্য ভেবে মোটেও ভুল করবেন না। জাপানি এবং কোরিয়ানদের পছন্দের খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক শসা বেশ পাকাপোক্ত ভাবে জায়গা দখল করে নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Tiny Animals: যেসব ক্ষুদ্র প্রাণীকে একদম এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়