Outlinebangla Digital Desk: শুক্রবার বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন সপুত্র মুকুল রায়। তার পুরনো দলে ফেরায় তৃণমূল যেন নতুন করে শক্তি ফিরে পেয়েছে। এমনকি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়-কে বাংলার ছেলে বলে ডেকে নিয়েছেন। গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই শুরু হয় মুকুল রায়কে নিয়ে চর্চা।
গতকাল তৃণমূলে যোগদানের পরই তাঁর কাঁচরাপাড়া বাড়ির সামনে রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এর সাথে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। তবে মুকুল রায় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যেই সিআইএসএফ -র ডিজি-কে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য। ২০২৬ সালে নারদা মামলায় একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রীর সাথে নাম উঠে আসে মুকুল রায়ের।নারদা মামলার জেরে তাঁর ওপর চাপ বাড়তে থাকে। যার জন্যই তিনি দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু সাড়ে তিন বছর পর ফের পুরনো দলে ফিরলেন তিনি। তৃণমূলে যোগদান দেওয়ার পর তিনি বলেন, ”বিজেপি থেকে বেরিয়ে খুব ভাল লাগছে। নতুন আঙিনায় এসেছি, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। আর এটা ভেবে ভাল লাগছে, বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা।”
অন্যদিকে মুকুলের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে বিজেপির একাধিক নেতৃত্বরা তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কিছু লোক ধান্দবাজি করতে বিজেপি-তে এসেছিল। যার ঝামেলা করতে চায়, তারা দলে থাকতে পারবে না। থাকতে দেবও না।’’ তাঁকে মুকুলের দলবদলে বিজেপির কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলেন, ‘‘মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে এলে যদি তৃণমূলের ক্ষতি না হয়, তা হলে বিজেপি ছেড়ে গেলেই বা বিজেপির কেন ক্ষতি হবে? কিছু নেতা দলবদলকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’