Outlinebangla Desk: একদিকে সারা দেশ করোনার সাথে লড়াই করছে। অন্যদিকে চলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্টার কাজ। করোনা মোকাবিলার জন্য দেশে অর্থাভাব থাকলেও মোদির স্বপ্নের প্রকল্পের কাজের জন্য রাজকোষে টাকার আকাল হয়নি। সেই স্বপ্নের প্রকল্পের জন্য গান্ধীজির সাবরমতী আশ্রমকে ‘বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তুলতে চান মোদি। এর জন্য সাবরমতী আশ্রমকে ঘিরে থাকা দুই শতাধিক দলিত পরিবার উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
১৯১৭ সালে গান্ধীজি সাবরমতী আশ্রম তৈরি করেন। ওই আশ্রমে পাঁচ প্রজন্ম ধরে বসবাসকারী হরিজন পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিষয়ে অমিত শাহের সাথে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। আশ্রমবাসীদের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁদের জন্য অন্যত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তাতেও রাজি না থাকলে ৬০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আশ্রমের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে অগ্রিম ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে বাড়ি ছাড়ার পরে বাকি ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর তৈরি এই আশ্রম গুজরাটের আহমেদাবাদে শহরে সাবরমতী নদীর তীরে অবস্থিত। এই আশ্রম হরিজন আশ্রম বা গান্ধী আশ্রম নামেও পরিচিত। আশ্রমে থাকাকালীন গান্ধীজি একটি স্বতন্ত্র বিদ্যালয় গঠন করেছিলেন। এখান থেকেই ১৯৩০ সালে গান্ধীজি ভারতের স্বাধীনতার জন্য ডান্ডি যাত্রা শুরু করেছিলেন। এই আশ্রমে আন্দোলনের পাশাপাশি কৃষিকাজ, গবাদিপশু পালন, খাদি কাপড় তৈরীর উদ্যোগ নেন গান্ধীজি।