১০ কোটিরও বেশি শিশু আজ চূড়ান্ত অপুষ্টির শিকার, যা আপনার জানা উচিৎ

আউটলাইন বাংলা: আপনার বাড়ীতে রোজই হয়তো কম বেশি খাবার নষ্ট হয়। অনেক খাবার ফেলা যায় রাস্তায়, ডাস্টবিনে। পৃথিবীর একপ্রান্তে যখন খাবার নষ্ট হচ্ছে ঠিক একই সময়ে অপর প্রান্তে নেমে এসেছে খাবারের জন্য হাহাকার। কঙ্গো, উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, সেন্ট্রাল সাহেল এবং ইয়েমেনে ১০ কোটি ৪০ লাখ শিশু চুড়ান্ত অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ঘোরতর মানবিক বিপর্যয় ও তীব্র খাদ্যাভাবে ভুগছে এই দেশ এবং অঞ্চলগুলি। সেন্ট্রাল সাহেল অঞ্চলে চলছে দুর্ভিক্ষ। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলমান সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘সংঘাত, বিপর্যয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকটে ঘুরপাক খাওয়া এই দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্যাভাব চলছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত বিপর্যয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে করোনা মাহামারি।‘ ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ‘হেনরিয়েটা ফোর’ একথা বলেছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শিশু এবং নিজেদের খাদ্য জোগাড় করতে যে পরিবারগুলোকে নিদারুন সংগ্রাম করতে হয়, মহামারির কারণে ২০২০ সালে তারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। আমারা তাদের ভুলে যেতে পারি না। আফ্রিকা এবং ইয়েমেনে শিশুদের চুড়ান্ত পুষ্টিহীনতার কারণ হিসেবে এই দুই অঞ্চলে চলমান সশস্ত্র সংঘাত, নিরাপত্তাহীনতা এবং নূনতম পুষ্টিকর খাদ্য,জল, এবং স্বাস্থ্যপরিসেবার অভাবকে উল্লেখ করা হয়েছে।

দক্ষিণ সুদানের ৭৩ লক্ষ মানুষ, ২০২১ সালের চুড়ান্ত খাদ্য সংকটে পড়বেন। যা ঐ দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ১৪ লক্ষ। এছাড়া কঙ্গোতে ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী আরো ৩৩ লাখ শিশু চুড়ান্ত অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের তালিকায় যুক্ত হবে। রীতিমত খাবারের জন্য হাহাকার নেমে এসেছে অঞ্চল গুলিতে। করোনা মহামারী চলাকালীন যার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,919FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস