Outlinebangla Desk: দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মানুষের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। অন্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও চলছে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। কিন্তু রাজ্যে চাহিদার তুলনায় যোগান কম। ফলে বহু মানুষ অ্যাপে নাম লিখিয়ে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাচ্ছেন না। এমনই অভিযোগ আনলেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ক্রমেই আশঙ্কা বাড়ছে। তাই তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সবাইকে টিকা দিতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু জানা গেছে, ২৭ টি স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে মোট করোনার টিকা রয়েছে ৬ লক্ষ। আর উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল স্টোরে মাত্র ৬ হাজার ডোজ রয়েছে। যার মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন দুটিই আছে। কীভাবে আগামীদিনে টিকা কর্মসূচি চলবে তা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্যকর্তারা।
অন্যদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত লেগে রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিযোগ,কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন আসছে না বলেই ভ্যাকসিন এর চাহিদা পড়েছে। সবাই প্রাপ্য টিকা পাচ্ছে না। তবে কেন্দ্র ঘোষণা করেছে ২১ জুন থেকে সব রাজ্যকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয় আগে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছিল ক্রমশ সেই পরিমাণ কমছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানান, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আছে তা যথেষ্ট নয়। এখনই আরও ভ্যাকসিন দরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানান, বুধবার বিকেলে সাড়ে চার লক্ষ কোভিশিল্ড আসার কথা রাজ্যে। কিন্তু সেই টিকা কতজনকে দেওয়া সম্ভব তা এখনও স্পষ্ট নয়।