আউটলাইন বাংলা ডেস্ক: শীতের সকালে বাজারে গেলেই দেখা যায় বিভিন্ন রকমের শাক সব্জি, তারসঙ্গে দেখা মেলে পেঁয়াজ কলির। শীতের দিনে যা দারুন সুস্বাদু। বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় পেঁয়াজ কলি। কাঁচা খেতেও বেশ সুস্বাদু। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তাহলে দেখুন কি কি গুনাবলি রয়েছে পেঁয়াজ কলির মধ্যে।
শীতে সর্দি-কাশি, ফ্লু প্রতিরোধ:
পেঁয়াজের কলি কাঁচা বা হালকা ভেজে বা মাছের ঝোলের সাথে রান্না করে খেতে পারেন। গরম ভাতে গরম গরম পেঁয়াজের কলি ভাজা আপনার শরীরের অভ্যন্তরে গরম আভা সরবরাহ করবে যেটি বিভিন্ন ধরনের ফ্লু, সর্দি সারাতে দারুন উপকারী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক:
এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সালফারের উপস্থিতি। পেঁয়াজ কলিতে থাকা সালফার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে। তাই পেঁয়াজ কলি খান।
সংক্রমণ রোধক:
বিভিন্ন ধরনের সিজিনাল রোগ প্রতিরোধে পেঁয়াজকলির ভুমিকা রয়েছে। এছাড়া চোখের জন্য ভালো। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ- থাকে । এছাড়া হজম শক্তি বাড়ায় পেঁয়াজকলি।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ:
পেঁয়াজ গোষ্ঠীর সমস্ত শাকসবজি ফাইটোনিট্রিয়েন্টস যুক্ত, সাথে কিছু রাসায়নিক যেগুলি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট নামে পরিচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আপনার শরীরকে রক্ষা করে। ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনলগুলির মতো পেঁয়াজ কলিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বয়সজনিত বিভিন্ন রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
তাহলে অন্যান্য শাক সব্জির মতই শীতের দিনে পাতে রাখুন পেঁয়াজকলি। সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন।