Outlinebangla: মানুষের জীবনে ‘সময়’ হল সবচেয়ে মূল্যবান একটি সম্পদ। সময়কে যদি নিয়ন্ত্রন করা যেত তাহলে প্রত্যকের কাছে কিছু কিছু মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকতো। তবে সময় একবার অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না (These villages run anti-clockwise)। তাকে নিয়ন্ত্রণ করা অসাধ্য। একটু অন্য ভাবে ভেবে দেখতে গেলে বলতে হয়, আমাদের জীবনের নির্ধারিত সময় কমে আসছে প্রতিমুহূর্তে। তাই সময় থাকতে সময়ের সঠিক ব্যবহারই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
বলিছে সোনার ঘড়ি, “টিক্ টিক্ টিক্,
যা কিছু করিতে আছে, করে ফেল ঠিক।
সময় চলিয়া যায়-
নদীর স্রোতের প্রায়,
যে জন না বুঝে, তারে ধিক্ শত ধিক।”
বলিছে সোনার ঘড়ি, “টিক্ টিক্ টিক্।”
–যোগেন্দ্রনাথ সরকার–
সারা দিনের কতটা সময় এগিয়ে গিয়েছে তা জানান দেয় ঘড়ি। যদি এমনটা হয়, ঘড়ির কাঁটা উল্টোদিকে ঘুরছে! ভাবতে অবাক লাগছে নিশ্চয়! অবাক লাগারই কথা। অনেকের কাছে এটা অবাস্তব মনে হলেও আদতে এটা সত্যি (These villages run anti-clockwise)। ভারতে রয়েছে এমন এক গ্রাম যেখানে ঘড়ির কাঁটা বিপরীতে প্রবাহিত হয়। ঘড়ির কাঁটা ঘোরে প্রচলিত নিয়মের বিপরীতমুখে। ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় গেলে দেখা যাবে ঘড়ির কাঁটা (Clock) ঘুরছে প্রচলিত নিয়মের বিপরীতমুখে। সেখানে দুপুর ১২টার পর ১টা নয়, বাজে ১১টা।
ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কোরবা জেলা ছাড়াও মধ্যভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল-জুড়ে গোন্ড উপজাতি বসবাস। এই উপজাতির আইন-কানুন, সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়মকানুন একটু ভিন্ন ধরনের। গ্রাম সভার দ্বারা সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয়। বলা চলে প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে তাত্ত্বিক জীবনদর্শনকেই বেছে নিয়েছে এই উপজাতি। যার জেরে এখনও ঘড়ির কাঁটা অবিরাম ঘুরে চলে প্রচলিত নিয়মের বিপরীতমুখে।
গোন্ড উপজাতি মনে করে জীবনের নির্ধারিত সময় ধীরে ধিরে ছোটো হয়ে আসছে। আমরা প্রত্যেকেই জানি চাঁদ পৃথিবীকে এবং পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ঘড়ির কাঁটার উল্টোদিকে। এই নিয়মকেই মাথায় রেখে এই ঘড়ি নির্মাণ করে গোন্ড উপজাতিরা।