Outlinebangla Digital Desk: একদিকে গোটা রাজ্য করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে মানুষকে ঠকিয়ে, জালিয়াতি করে প্রচুর অর্থ জোগাড় করতেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। অনেকদিন ধরেই ভুয়ো টিকা নিয়ে ব্যবসা চালাতেন দেবাঞ্জন দেব। সেই অপরাধে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেবাঞ্জনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও তিনজনকে এই অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি কসবা কাণ্ডে সিবিআই এর তদন্তের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তালতলার বাসিন্দা শান্তনু মান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।দেবাঞ্জনের সঙ্গেই কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু মান্না। জানা যায়, সে নিজেকে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের অফিসের ম্যানেজার বলে পরিচয় দিত। এছাড়াও এক অপরাধে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন সল্টলেক সেক্টর টু’র বাসিন্দা সুশান্ত দাস এবং বারাসাতের বাসিন্দা রবীন শিকদার। আজই তাঁদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, মারণ করোনা ভাইরাসের রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই দেবাঞ্জন মাস্ক,পিপিই কিট ইত্যাদি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এমনকি ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প আয়োজন করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কখনও নিজেকে আইএএস অফিসার বলে, কখনও বা কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার বলে পরিচয় দিতেন নিজেকে। চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নিতেন। তাঁর এই কাজগুলি যাতে সহজে করা যায় তার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্কও গড়ে তোলেন তিনি।