Outlinebangla: কোন কিছু লিখতে গেলে আমাদের দুটি জিনিস প্রয়োজন প্রথমটি খাতা এবং পরেরটি হলো কলম (Invention of the pen)। আমরা আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যতই ল্যাপটপ,মোবাইল ব্যবহার করি না কেন আজও আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কলম।এটি ছাড়া আমাদের জীবন অচল বললেই চলে!তবে কোথা থেকে এলো এই কলম কি বা তার ইতিহাস চলুন জেনে নি কলমের ইতিহাস।
আমাদের চিন্তা ভাবনা প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাষা, যার লিখিত রূপদান করতে প্রয়োজন কলম (Invention of the pen)। অফিসের ডেস্ক থেকে পড়ার টেবিল সব জায়গায় প্রয়োজনীয় হলো এই কলম।শুরুতে আদিম মানুষেরা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে গুহার দেয়ালে পাথর দিয়ে আঁকি-বুকি কাটত। পরে পশুর রক্ত দিয়ে, পাতার রস দিয়ে তারা লিখতে শুরু করেছিল। আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিশরীয়রা একটি লম্বা কাঠির মুখে নিবের মতো দেখতে ধাতব তামা লাগিয়ে পেনের মত লিখতে শুরু করেছিল। এভাবেই মিশরীয়দের হাত ধরে প্রথম পেনের প্রচলন শুরু হয়।
পরে যুগ পরিবর্তনের সাথে মানুষ তাদের সুবিধার জন্য কলমকে কে আরও উন্নত করে তোলে। এরকম উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কলমের নিদর্শন প্রাচীন যুগে পাওয়া যায়।
স্টাইলাস:
গ্রিকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিল এই পেন। বর্তমান ‘স্টাইল ‘কথাটি আমরা ব্যবহার করে থাকি এটি এসেছে স্টাইলাস থেকেই। মূলত হাতির দাঁত এবং ব্রোঞ্জ জাতীয় কিছুর সংমিশ্রণে তৈরি পেন কে স্টাইলাস বলা হত (Invention of the pen)। ব্রোঞ্জদিয়ে তৈরি হওয়ায় এর অপর নাম ব্রোঞ্জের শলাকা। শোনা যায় জুলিয়াস সিজার স্বয়ং এই পেন টি ব্যবহার করেছেন। এই কলম ব্যবহার করে তিনি কাসকাকে আঘাত করেছিলেন।
আরও পড়ুন- History of cookies and biscuit: কোথা থেকে এলো কুকিস বা বিস্কুট! জানেন কি
খাগের কলম:
‘খাগরা ‘ নামক বিশিষ্ট প্রকৃতির শক্ত গাছ কেটে খাগের কলম তৈরি করা হতো । ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা পেনের মাঝখানটা ছিল ফাঁপা সেখানে কালি ভরে লেখা হতো এই পেনটির যান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনেকটাই পালকের কলমের মতো।
পালকের কলম:
সাধারণত বড় কোন পাখি বিশেষত রাজহাঁসের পালক দিয়ে তৈরি কলমগুলিকেই পালকের কলম বলে। এই কলম আসার পর তখনকার মানুষ খাগের কলমের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছিল। পার্চমেন্ট পেপারের উপর এই কলম দিয়ে লেখা হতো।
ঝরনা কলম (Fountain Pen):
৯৩৫ সালে আবিষ্কৃত এই পেন খুবই জনপ্রিয় ছিল। প্রথম মিশরীয়রা এই পেন ব্যবহার করত। এই পেনের ভিতরে থাকা নিব অভিকর্ষের মাধ্যমে কালি টেনে নিত খুব সহজেই। একবারে ১০ থেকে ১২ পাতা লেখা হতো এই পেনের সাহায্য।
আরও পড়ুন-Colour and human psychology: রঙই বলে দেবে আপনার মনের অবস্থা! জানেন কিভাবে
নিব যুক্ত কলম:
এই পেন দেখতে অনেকটা ঝরনা কলমের মত। আঁকার ক্ষেত্রে এই পেনটি বেশি ব্যবহার করা হতো। এটি লম্বা কাঠের কলমের ডগাতে ধাতব নিব যুক্ত করা থাকতো তারপর দোয়াতে চুবিয়ে ব্যবহার করা হতো।
বল পেন:
বল পেন:
আমেরিকার জন জে লাউড ১৯৮৮ সালে এই পেন আবিষ্কার করেছিলেন ।এই পেনটির সম্মুখভাগে ছোট্ট একটি বল লাগানো থাকে এবং পেনের ভিতর একটি খোপে কালি ভরা যায় এর ফলে যখন পেনের বলটা ঘুরতো তখনই কালি বের হতো। এভাবেই এই পেন দিয়ে লেখা হতো। এটি খুব সহজলভ্য একটি পেন। বর্তমানে এই পেনের ব্যবহার বিপুল পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়।
এই পেনগুলি ছাড়াও যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে বাজারে আরো ও নানান ডিজাইনের অত্যাধুনিক পেনের ব্যবহার আমরা দেখতে পায়। এখনকার দিনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক কিছু পেন হল জেল পেন,মার্কার পেন ইত্যাদি।