Outlinebangla: বেঁচে থাকার জন্য জল ও বাতাসের মত খাদ্যও প্রয়োজন। সারা বিশ্বে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে খাবারের চাহিদা (Interesting Food Facts)। তবে চাহিদা বাড়লেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাবার অপচয়ের পরিমাণও। আজও এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিদিন অভুক্ত অবস্থায় ঘুমোতে যান (Interesting Food Facts)। সংখ্যাটা জানলে হয়তো আপনি অবাক হবেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, নষ্ট খাবারের পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ কোটি কেজি। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এই নষ্ট খাবারের পরিমাণ বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক তৃতীয়াংশ (Interesting Food Facts)। যা দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ২০০ কোটি মানুষকে পেট ভরে খাওয়ানো সম্ভব। আজকের প্রতিবেদনে মূল আলোচ্য বিষয় হল, একজন মানুষ খাওয়া দাওয়া না করে ঠিক কতদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
একবার মাহত্মা গান্ধী ৭৪ বছর বয়সে তাঁর জীর্ণ শীর্ণ শরীর নিয়ে ২১ দিন পর্যন্ত না খেয়েছিলেন। শুধু তাই না অনেকসময় নানান দুর্যোগের ফলে ধ্বংসস্তুপের তলায় চাপা পড়ে বহুদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার ঘটনা মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। এক্ষেত্রে ব্যাক্তিটির ওজন এবং বয়স, পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, দৈহিক সুস্থতা, শরীরের মেদ এবং জলের পরিমান প্রভৃতি বিষয়ের উপর বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। কিন্তু না খাওয়া দাওয়া করে আসলে কতদিন বাঁচা যায় তার নিদিষ্ট কোনো প্রমান নেই (Interesting Food Facts)।
আরও পড়ুনঃ Adenovirus: উদ্বিগ্ন না হয়ে অ্যাডেনোভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে জানুন..
How long you can survive without food?
কোনোরকম পানীয় এবং খাবার দাওয়ার ছাড়া একজন মানুষ সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মতো বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র জল খেয়ে দু থেকে তিনমাস বাঁচে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দেহের বি এম আই ১৮.৫-২৪.৯। ২০১৮ সালে হওয়া এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক বি এম আই এর নিচে যে কোনো ব্যাক্তি ৪ বছর কম বাঁচেন। বি এম আই ১২.৫ এ নেমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনায় বাড়তে পারে।
না খেয়ে কতদিন বেঁচে থাকা সম্ভব হয়?
অনেকদিন না খেয়ে বেঁচে থাকা বহুজনের কাছে এক আশ্চর্যের বিষয়। খাবারই আমাদের শরীরের মূল চালিকাশক্তি। আমরা যখন শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করি সেটা আমাদের পাকস্থলীতে পৌঁছে হজমের হওয়ার পর গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের শক্তি প্রদান করে। যখন প্রয়োজনমতো গ্লুকোজ নেওয়া হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত যে গ্লুকোজটা থাকে সেটা গ্লাইকোজেন রূপে যকৃতে গিয়ে জমা হতে থাকে। আমাদের শরীরে স্বাভাবিক কার্যকলাপে বিঘ্ন ঘটতে শুরু করে প্রায় ২৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকার পর থেকেই।
আরও পড়ুনঃ Medicine: ওষুধে হবে আরোগ্য লাভ, কীভাবে জানুন..
এইসময় গ্লুকোজের সঠিক সরবরাহ না হওয়ায় যকৃতে জমে থাকা গ্লাইকোজেন গ্লুকোজে পরিণত হয়ে থাকে। এই গ্লুকোজ তখন খানিকক্ষণের জন্য শক্তি যোগায়। তবে যকৃতের জোগান ও একটাসময়ে পর শুন্য হয়ে যায়। ঠিক এই কারণেই মোটা ব্যাক্তিরা রোগা ব্যাক্তিদের থেকে বেশিদিন বেঁচে থাকতে সক্ষম। এইভাবে ১-২ কেজি ওজন কমতে লক্ষ করা যায় প্রথম ৬ দিনে। এভাবে যতদিন যেতে থাকে ততই ৩০০ গ্রাম করে ওজন কমে। সবশেষে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি ঘটার ফলে একটা সময়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়।
বহুদিন না খেয়ে শরীরে কি কি ধরণের সমস্যা হয়? (Interesting Food Facts)
অনেকদিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলির ব্যাঘাত ঘটে। অতিরিক্ত বমি ভাব, কোষ্টকাঠিন্যর মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। শরীর সারাক্ষন ক্লান্তি অনুভব করে পাশাপাশি নাড়ির গতির সঙ্গে রক্তচাপ ও কমতে থাকে। এবং সবশেষে হৃদপিন্ডকে চালানোর স্বাভাবিক শক্তিও হারিয়ে ফেলে। এছাড়াও মহিলাদের এক্ষেত্রে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হওয়া, চুল পড়ার মতো নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুনঃ Suicide and Mental Health: কোন ভিটামিনের অভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা জন্ম নেয়? জানুন…