Home তথ্য গুচ্ছ The Statue of Liberty: যুক্তরাষ্ট্রের কালো অধ্যায়কে পেছনে ফেলে যেভাবে মাথা উঁচু...

The Statue of Liberty: যুক্তরাষ্ট্রের কালো অধ্যায়কে পেছনে ফেলে যেভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি

Interesting Facts about the Statue of Liberty
Interesting Facts about the Statue of Liberty

Outlinebangla: প্রায় দেড়শো বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়ার্ক হারবারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে সসম্মানে দাঁড়িয়ে রয়েছে’ Statue of Liberty’। ফ্রান্সের জনগন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ১০০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে উপহার হিসাবে এই ভাস্কর্যটি দিয়েছিলো। বর্তমানে এটি মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও কয়েক দশক আগে এটিই এলিস আইল্যান্ড হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী অভিবাসীদের জন্যে এক আশার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। বিশাল এক মশাল হাতে দাঁড়ানো এই দৈতাকার ভাস্কর্যটিকে ঘিরে রয়েছে অজানা অনেক তথ্য সঙ্গে দারুন কতগুলি ইতিহাস।

স্ট্যাচু অব লিবার্টির বর্ণনাঃ (A Description of the Statue of Liberty)

মূর্তিটি Statue of Liberty নামে বিখ্যাত হলেও এটির আসল নাম ‘Liberty Enlightening the World’। ভাস্কর্যটির বাম হাতে থাকা বইটির মলাটে রোমান হরফে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার তারিখটি ৪ঠা জুলাই,১৮৭৬। এই দিনেই ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে আমেরিকা মুক্তি পেয়েছিলো। অপরদিকের ডান হাতটিতে অবস্থিত রয়েছে প্রজ্বলিত একটি মশাল। ভাস্কর্যটির ভাঙা শিকলটি যেটি এটির পায়ের কাছে পড়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের দাসপ্রথা রোহিতকরণের চিহ্ন। ১৫১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট Statue of Liberty মুকুটে উপস্থিত সাতটি স্পাইক সূর্য, সাত সমুদ্র, সাতটি মহাদেশ কে নির্দেশ করে। উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড়ো ভাস্কর্য স্ট্যাচু অব লিবার্টির বেদিসহ উচ্চতা ৩০৫ ফুট। এটির দুই কানের মধ্যেকার দূরত্ব প্রায় ১০ ফুটের কাছাকাছি, নাকের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৭৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর ফ্রান্সের কাছ থেকে স্ট্যাচুটিকে উপহার হিসাবে গ্রহণ করে। প্রত্যেক বছর তাই ২৮ শে অক্টোবর দিনটিতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির জন্মদিন পালন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ Everything about Schizophrenia in bengali: ভূত এবং ভগবানের আসল রহস্য

অবস্থান সম্পর্কিত ইতিহাসঃ (Statue of Liberty History)

Statue of Liberty নিউ ইয়র্কের হাডশন নদীর পাড়ে বসানোর পরিকল্পনাটা প্রথমেই ছিল না। মিশরের সুয়েজ খালের পাশে বসানোর জন্যই ফ্রেডরিক ব্যার্থল্ডি মূর্তিটির নকশা করেছিলেন। কিন্তু মিশর যখন ভাস্কর্যটি তৈরির অর্থ নানান কারণে এড়িয়ে যেতে লাগলো এবং একটা সময় গিয়ে অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালো তখনই ভাস্কর্যটি যুক্তরাষ্ট্রে স্থাপন করা হলো। ‘ইজিপ্ট ব্রিঙ্গিং লাইট টু এশিয়া ‘ নাম ছিল সুয়েজ খালের ঠিক পাশে মূর্তিটি বসানোর আগে। নিউ ইয়র্কের বেড লে আইল্যান্ড দ্বীপটিতে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী কালে লিবার্টি আইল্যান্ড নাম বদল করা হয়েছিল ১৯৫৬ সাল নাগাদ।
আরও পড়ুনঃ Ratan Tata detailed bangla story, an inspiration of a million: মানবিকতার আরেক নাম রতন টাটা

স্ট্যাচু অব লিবার্টির কয়েকটি আকর্ষণীয় তথ্যঃ (Interesting facts about Statue of Liberty)

এই ভাস্কর্যটির মোট ওজন ৪৫ হাজার পাউন্ড বা ২২৫ টন, এটি এতটাই বড়ো যে এটির পায়ের মাপের জুতো কিনলে সাইজ লাগবে ৮৭৯। প্রায় 16বছর ধরে মূর্তিটিকে লাইট হাউস হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই লাইট হাউসের আলোটি ২৪ মাইল দূর থেকেও মানুষ দেখতে পেতো। স্ট্যাচুটি ৩ ইঞ্চি ও মশালটি ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত দুলতে পাড়ে যদি জোরে জোরে হাওয়া দেয় তবেই। মূর্তিটি প্রত্যেক বছর গড়ে প্রায় ৬০০টি বজ্রঘাত সহ্য করে।

রোমান সভ্যতার ভাস্কর্যের আদলে তৈরী হওয়া মূর্তিটির মাথায় উঠতে আপনাকে ৩৫৪ টি সিঁড়ি অতিক্রম করতে হবে। এখানে পৌঁছে আপনি চারিদিকটা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন ২৫ টি জানলা দিয়ে। স্ট্যাচু অব লিবার্টি পুরোটাই তামা দিয়ে তৈরী। এখন আমরা স্ট্যাচুটিকে সবুজ বর্ণে দেখতে পায়। বর্তমানে প্রত্যেক বছর প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ Statue of Liberty দেখতে আসে। স্ট্যাচু অব লিবার্টি তৈরী করতে তখন প্রায় ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল। এটি এখন প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের সমান। ১৯২৯ ও ১৯৩২ সাল নাগাদ ভাস্কর্যটির সিঁড়ি গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ এই সময়টিতে দুজন দর্শণার্থী স্ট্যাচু অব লিবের্টি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। দর্শণার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Kalpana Chawla: আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে আকাশে ডানা মেলার গল্প…

Exit mobile version