Outlinebangla: বর্তমান সময়ে অনেকের মুখে অহরহ শোনা যায় গ্যাস্ট্রিক, অম্বল অথবা অ্যাসিডিটি সমস্যা সম্পর্কে (Gastric Problems)। এই ধরনের সমস্যাগুলি যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক যারা ভোগেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। একটু মনের মত মুখরোচক খাবার খেলেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি। এই ব্যাস্ত জীবন যাত্রার যুগে গ্যাস্ট্রিক (Gastric Problems), অম্বল অথবা অ্যাসিডিটি যে নামেই চিনি না কেন এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে আউটলাইন বাংলা মিডিয়ার পাঠকদের জন্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কিছু ঘরোয়া প্রতিকার তুলে ধরা হলো (Gastric Problems)-
রইল গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (Gastric Problems) সমাধানের প্রাকৃতিক সমাধান
শসাঃ যারা স্বাস্থ্যের প্রতি অত্যন্ত সচেতন তাঁরা প্রত্যেকেই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় Cucumber রাখবেন। কারন শসা খেতে ভালো এবং স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো কাজ করে। শসার মধ্যে জলের পরিমাণ অনেক। ১০০ গ্রাম শসাতে জলের পরিমাণ ৯৪.৯ গ্রাম এবং ক্যালরি ২২। শসাতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে অম্বল অথবা অ্যাসিডিটির মত একাধিক সমস্যার উদ্রেক কমায়।
জিরাঃ জিরা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, শরীরের নানা উপকারেও জিরার জুড়ি মেলা ভার। পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। এছাড়াও হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয় জিরা।
দারুচিনিঃ দারুচিনি স্বাস্থ্যের জন্য অনকে উপকারী। এক গ্লাস জলে আধাচামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ওই জিলের মিশ্রণটি ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
কলাঃ কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতিদিনের ডায়েটে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এই ফল আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুনঃ Health benefits of chilli: নিয়মিত ঝাল খাওয়া কি ভালো না খারাপ!
দইঃ দই স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উভয়ের জন্যই খুব ভালো। দইয়ে রয়েছে একাধিক পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। হজম ক্ষমতার উন্নতিতে দই-এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
আদাঃ পরিমানের তুলনায় একটু বেশিই খাওয়া হয়ে গেছে? ঘুম আসছেনা, মনে হচ্ছে গলা অব্দি খাবার ভর্তি? এমন সমস্যায় মুশকিল আসান কিন্তু আদা। আদা হল কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। গ্যাস্ট্রিক, অম্বল অথবা অ্যাসিডিটি হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খান, গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মৌরিঃ মৌরির মধ্যে থাকা ইস্ট্রাগোল, ফেনকোন এবং অ্যানিথোলের উপস্থিতি গ্যাস্ট্রিক উৎসেচক নিঃসরণে সহায়তা করে। যারা হজমের সমস্যায় উগছেন, তাঁরা যদি নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল পান করেন, তাহলে উপকার পাবেন।
মনে রাখবেন এই সমস্ত ঘরোয়া টোটকা আপনাকে গ্যাস্ট্রিক, অম্বল অথবা অ্যাসিডিটির মত সমস্যাগুলি থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে। তবে ঘন ঘন অ্যাসিডিটি হলে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না। সেক্ষেত্রে আপনি, অ্যাসিডিটির কারণ জানতে বা আলসার হয়েছে কি-না যাচাই করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।