Outlinebangla Digital Desk: করোনা অতিমারীর কারণে দেশের অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, শুধু মে মাসে চাকরি হারিয়েছেন এক কোটি ভারতবাসী। সারা দেশে বেকারত্বের হার ১৪.৭ শতাংশ।
সিএমআইই কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬ মে পূর্ববর্তী সপ্তাহে শহরের বেকারত্বের হার ছিল ১৪.৪৫ শতাংশ। ২৩ মে সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে হয় ১৪.৭৩ শতাংশ। শহরের বেকারত্বের সংখ্যা বাড়লেও অন্যদিকে গ্রামে বেকারত্বের হার ১৪.৩৪ শতাংশ থেকে কমে ১৩.৫২ শতাংশ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ৭.৬ শতাংশ। বেকারত্ব নিয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
করোনা মহামারী রুখতে গতবছর সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে অনেক মানুষ কাজ হারান। গত বছর এপ্রিল-মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার ২০ শতাংশ ছড়িয়েছিল।লকডাউন উঠতেই সেই হার কিছুটা নামে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি থাকলেও দীর্ঘ লকডাউন হয়নি দেশে। রাজ্যগুলি করোনার পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাসত্বেও এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিকাশ ব্যাস জানিয়েছেন, “এবারে পুরোপুরি লকডাউন করা না হলেও স্থানীয় ভাবে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বেকারত্বের হারে এটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের পাশাপাশি সংগঠিত ক্ষেত্রেও বহু কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। এপ্রিল মাস থেকেই শহরাঞ্চলে প্রতি সপ্তাহে কর্মী ছাঁটাইয়ের হার ৮ শতাংশের উপরে পৌঁছে গিয়েছে।”