Increase your concentration: বহু চেষ্টার পরেও পড়াই মন বসছে না মেনে চলুন এই ৭ টি উপায়

Outlinebangla: বই পড়তে কমপক্ষে আমরা সবাই ভালবাসি ছোট থেকে এই কালচারটা আমাদের মধ্যে থাকে সেটা ক্লাসের পড়ার বই (Increase your concentration) হোক বা কোন জ্ঞান সংগ্রহের বই বা কোন কমিক্স বা বিভিন্ন রকমের বই পড়াশোনার চর্চায় থাকি। কিন্তু একটা সময় আসে যখন আমাদের বই সামনে থাকার সত্ত্বেও আর পড়তে বা ঘাটতে ইচ্ছে করে না। এর একটি সাধারণ উদাহরণ হল আমরা সারা বছর ক্লাসের বই পড়ি কিন্তু ঠিক পরীক্ষার আগে আর আমাদের পড়তে ভাল লাগে না। এই জিনিসটি কমবেশি প্রায় সবার মধ্যেই দেখা যায়। এটি একটি অসুখ যাকে “রিডার্স ব্লক” বলা হয়। এতে কি হয় আমরা যেকোনো বই পড়ি না কেন বা যতই প্রিয় বই পড়ি না কেন পড়তে বিরক্ত লাগে এমনকি পড়ার বইটা ঘাটতেও ইচ্ছা করে না। এটি একটি মারাত্মক রোগ। হয়তো এর কারণে আপনার ভবিষ্যত নষ্ট হতে পারে।

ধরুন কিছুদিনের মাথায় আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা আর ঠিক সেই সময় আপনার এই রেডার্স ব্লক হয়ে গিয়েছে। অথবা আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা রক্ত-মাংসের মানুষের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করার চেয়ে বরং বইয়ের পাতায় বুঁদ হয়ে থাকাটাকেই প্রাধান্য দেন (Increase your concentration)। তাদের কাছে রিডার্স ব্লক রীতিমতো এক বিভীষিকার নাম। কি রকম পরিনিতি হতে পারে এবার আপনারা কল্পনা করে নিতে পারবেন। তাই এই বিষয়টি যেহেতু আমাদের ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত তাই একে নজরান্দাজ করা চলবেনা। এই বিভীষিকা থেকে উত্তরণের কিছু টোটকা রইল আজকের আর্টিকেলে ।

১.মনের বিরুদ্ধে গিয়ে পড়তে বসবেন না:

যদি আপনার পড়তে ইচ্ছা করছে না কিন্তু তাও জোর-জবরদস্তি মনকে বসাচ্ছেন পড়াতে তাহলে সেটা করবেন না জোর জবরদস্তি মনকে পড়তে বসলে আপনার সারা জীবনের জন্য বই পড়ার ইচ্ছাটা চলে যাবে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা মনের উপরে জোর করে খুব ভালো একটি বই নিয়ে বসলেও দেখা যাবে বইটি আপনার কাছে বিরক্তিকর। একবার মন থেকে সাড়া না পেলে আজীবন ঐ বইয়ের প্রতি আর কোনো আগ্রহ জন্মাবে না। কাজেই খামোখা বইগুলোর প্রতি বিতৃষ্ণা না জাগিয়ে সময় দিন নিজেকে, বিশ্রাম দিন কিছুদিন। সারা জীবনের পরিবর্তে কিছুদিন বইয়ের থেকে দূর থাকাটা স্নেহ। আবার একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে, কিছু দিনটা যেন অসীম সময়ে পরিণত না হয়। এখানে কিছুদিন বলতে ৪-৫ দিন বা এক সপ্তাহ বা ১০ দিন, এর চেয়ে বেশি না। এর চেয়েও বেশি হলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।

২.প্রতিদিন বইগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকুন:

পড়তে কোনরকম ইচ্ছা নাই, পড়তে বসেও বইয়ের (Increase your concentration) পাতা নড়ানো ছাড়া আর কোন কিছু করতে ইচ্ছা করছে না কিন্তু এইটার মানে এই নয় যে বই থেকে একবারে দূরে সরে চলে যাবেন। প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও বইয়ের স্পর্শে থাকবে। এতে কিছুটা হলেও একটু আগ্রহ তাকিয়ে রাখবে আপনার বইয়ের প্রতি। এছাড়া আপনি ভবিষ্যতে কি নিয়ে পড়বেন বা সামনে পরীক্ষা কি কি পড়বেন সেটা নিয়েও বসে ভাবতে পারেন সেটা নিয়ে একটা বুক লিস্ট তৈরি করতে পারেন তাতে আপনি কিছুটা হলেও পড়াশোনার চর্চায় থাকবেন আর বই থেকে দূরে সরে যাবেন না।
আরও পড়ুন:Increase productivity at work: কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর এই ১০ উপায় জানতেই হবে

৩.পরার সময় কল্পনায় বাস করার থেকে ভালো, কল্পনাকে সত্যি করুন:

একটা বিরতির অর্থাৎ কিছুদিন শান্তিময় জায়গার ভ্রমণ। এখানেও কিন্তু ইচ্ছার বিরুদ্ধে পড়ার চেষ্টা করা যাবে না। কিন্তু প্রথমে যে ভাবনাটা মাথায় আসে সেটা হলো, বাবা-মাকে কী বলে সামলাবেন?প্রথমে নিজের মাথায় এই কথাটা ভালো ভাবে গেঁথে নেওয়া প্রয়োজন যে এই ছুটিটা সম্পূর্ণ নিজের মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতে কাজে লাগাবেন। আর এই বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে মস্তিষ্ককে জানিয়ে দিতে হবে, আবারও এমন ছুটি পেতে হলে আপনাকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে পড়ালেখায়। সেই ভাবনাটাই মা-বাবাকে বুঝিয়ে বলুন, বইয়ের পাতা চোখের সামনে খুলে রেখে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে কল্পনার রাজ্য থেকে ঘুরে আসুন। হয়তো এতে কাজ হতেও পারে! তবে এই ছুটির জন্য কত তাই তে সান্তনা পাবে তা কল্পনার বাইরে।

৪.আপনার মতো পড়তে পারছে না এমন কাউকে সঙ্গী করে নিন:

যেমন লোহা লোহাকে কাটে ঠিক তেমনি আপনার মত যার সমস্যা হয় ঠিক তেমনি একজনকে খুঁজে নিন। তবে হ্যাঁ, আপনি বিশাল পড়ুয়া কারো সাথে নিজের দুঃখের কথা শেয়ার করতে গিয়ে উল্টো আরও ডিপ্রেশনকে সঙ্গী বানিয়ে ফেলবেন না যেন! তার চেয়ে বরং রিডার্স ব্লকে ভুগছে ঠিক আপনার মত এমন কোনো বন্ধুকেই খুঁজে নিন। দুজন মিলে মনের কথা শেয়ার করে একসাথে পরিকল্পনা করে পড়াশোনাও করতে পারেন। তাতে অন্তত নিজেকে একা তো মনে হবে না। আর রিডার্স ব্লকে ভোগা লোকের সংখ্যা অন্তত আমাদের দেশে যে নেহাতই কম তা নয়, পরীক্ষার আগে তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়। কাজেই এমন সঙ্গী জোটাতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না আপনার

৫.মনকে হালকা করে পড়ুন:

রবিন উইলিয়ামস একজন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা। ধরা যাক তিনি আপনার প্রিয় কমেডিয়ান। এখন গুগল বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে যান এবং সেরা রবিন উইলিয়ামস কমেডি অনুসন্ধান করুন। সেগুলি পড়ুন এবং আপনার মনের ভিতর থেকে হাসুন। আপনি রবিন উইলিয়াম বা তার সময়ের অন্য কোন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতাদের মতো আপনার প্রিয় কৌতুক অভিনেতাদেরও দেখতে পারেন। যখন কমেডিয়ানদের নাম নিচ্ছি তখন আমাদের প্রিয় গোপাল ভাড়ই বা বাদ যায় কোনো। আমাদের শৈশব কেটেছে তার অবিশ্বাস্য কমেডি দেখে। এভাবেই অল্প অল্প করে কিন্তু বেশ খানিকটা পড়া হয়ে যাবে আপনার। কিন্তু হা শুধু কমেডি দেখে মন ভরে নিয়েন না। তার পাশাপাশি ধরেন আপনাকে ইতিহাস বা ভূগোল পড়তে খুব ভালো লাগে তখন চট করে গিয়ে একবার ইতিহাসের কোন একটা অংশ চোখ বুলিয়ে নিলেন বা ভূগোলের কোন একটি ছবি দেখে বা মানচিত্র দেখে নিলেন এতে কিছুটা না হলেও আপনার পড়া হবে।

আরও পড়ুন: All About the Blobfish: ‘ব্লবফিশকে’ যেভাবে দেওয়া হল কুৎসিত প্রাণীর তকমা

৬.পছন্দের বই:

কখনও কখনও এমন হয় যে আমরা একটি বই বা টপিক পড়তে এত পছন্দ করি যে যতবার পরি মন ভরে না। তাই সেই প্রিয় বইটি আবার পড়ুন যখন পড়ার জন্য মন করবে। হয়তো আপনি বইয়ের প্রত্যেকটি পৃষ্ঠা সঙ্গে পরিচিত, হয়তো আপনি প্রতিটি চরিত্র সম্পর্কে কল্পনা করেছেন এবং কল্পনা করেছেন তাদেরকে আপনার চারপাশে চলতে। তাই বইটি আবার তুলে নিন। হৃদয় দিয়ে আপনার সাথে তার সখ্যতা অনুভব করুন। এই বইটি আপনাকে অন্য বইয়ের দিকে নিয়ে যাবে অন্য বই পড়ার জন্য মনে আগ্রহ নিয়ে আসবে। আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করুন আপনার প্রিয় বইটির মাধ্যম দিয়ে।

৭.বুকিস সিনেমা দেখে আগ্রহ বাড়ান

বেশ কিছু মুভি আছে যা বইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যখন আপনি সেই মুভিগুলো দেখবেন তখন আপনার মনে হবে বইটি পড়ার মতো। কারণ সিনেমার বিষয়বস্তু বইয়ের চেয়ে ছোট হয়, বইয়ে যত গভীর ভাবে সব লিখা থাকে মুভিতে সবটা দেখায় না। তাও কিছু কিছু মুভি আছে যেমন ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমাটি দেখার পর আপনি উপন্যাসটির আসল স্বাদ পাবেন। এরকম আরও অসংখ্য সিনেমা আছে যার সাহায্যে আপনি অবিলম্বে বইয়ের জগতে ডুব দিতে পারেন। সাহিত্যভিত্তিক চলচ্চিত্রও এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারেন ।

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,920FansLike
47SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস