Outlinebangla: আমাদের জীবনের পথে ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সময়টাতে কমবেশি সবাই এই প্রচলিত প্রবাদটির সাথে পরিচিত। প্রবাদটি হলো ‘অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয়’ (Importance Of Waiting)। প্রতিদিন সকালে কখন চা দেবে তার অপেক্ষা, খেতে বসে খাবার দিতে দেরি করলে তার জন্য অপেক্ষা, পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা, ডেলিভারি ম্যান আসার অপেক্ষা, বাইরে বেরিয়ে বাস ও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা আমাদের রোজকার বিষয় (Importance Of Waiting)।
অপেক্ষার ফল সত্যিই কি মিষ্টি হয়?
তবে প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করা বেশ মধুর এবং রোমান্টিক বলা চলে। অপরদিকে চাকরির পরীক্ষার অপেক্ষা মান তালিকায় নিজের নাম ভীষণ আশাহত হওয়ার মতো একটি বিষয়। আর এই অপেক্ষার সময়ের বাড়া কমার কারণে বদল ঘটাতে পারে আমাদের সম্পর্কে। ঠিক একারণেই অপেক্ষা করতে শিখতে হবে। অপেক্ষা করা শেখাটাও একটি দক্ষতার মধ্যেই পরে। কিন্তু এই অপেক্ষা আসলে কি? অপেক্ষার ফল কি সত্যিই মিষ্টি হয়? (Importance Of Waiting) আপনার মাথাতেও যদি এসব প্রশ্ন ঘুর পাক খেয়ে থাকে তো আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য
আরও পড়ুনঃFuture of your child: ট্রেন্ড ভাইরাল, আপনার বাচ্চার আধুনিকতার ভবিষ্যত কি?
অপেক্ষা আসলে কিঃ(Importance Of Waiting)
ধরুন আপনি এক ঘন্টা যাবত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন এক ঘন্টা পর ট্রেন আসবে এবং নির্দিষ্ট বা অল্প সময় পরই আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটবে। এই বিষয়টি কে অপেক্ষা বলা হয় এবং অপরদিকে আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ কোন কিছু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন এই বিষয়টিকে “প্রতীক্ষা” বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ The ultimate photography: দেখতে হবে চোখ দিয়েই, ক্যামেরা শুধুমাত্র একটি যন্ত্র
স্বেচ্ছায় অপেক্ষা করাঃ
আপনি আপনার ছাদে একটি ফলের বীজ রোপন করলেন গাছটিতে প্রতিদিন জল দেন যত্ন করেন এক্ষেত্রে আপনি স্বেচ্ছায় অপেক্ষা করছেন যে নির্দিষ্ট সময় পর গাছে ফল ধরবে এবং সেটিকে আপনি খেতে পারবেন এর থেকে বোঝা যায় আপনি নিজের ইচ্ছায় যখন কোন কিছু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন তখনই সেটাকে বলে স্বেচ্ছায় অপেক্ষা করা।
অপেক্ষা করা শেখাঃ
আমাদের নিজেদের আচরণ-ই আমাদের ব্যক্তিত্বের বাহ্যিক প্রকাশ। খেয়াল করে দেখবেন আমরা কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে ধৈর্য হারিয়ে উল্টোপাল্টা আচরণ করে ফেলি যেটি করা আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক। এটি আমাদের শিক্ষাকে ছোট করে। উল্টোদিকে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময় ধৈর্য ধরে মাথা ঠান্ডা রেখে যদি পরিশ্রম করতে পারি তাহলে আমাদের জীবনে সফলতা আসতে বাধ্য তাই অপেক্ষা (Importance Of Waiting) করতে শেখা খুবই প্রয়োজনীয়।
কিভাবে অপেক্ষা করবোঃ
আজকাল কয়েক সেকেন্ডের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হওয়ায় বা হঠাৎ কারেন্ট অফ হওয়াতে আজকাল আমরা ভেবে পাই না কি করব, না করব! অর্থাৎ কিছুই খুঁজে পাই না। এই যেমন ধরুন আপনি ডাক্তার দেখাবেন বলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকক্ষণ থেকে। যত সময় যাচ্ছে তত আপনার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু ভেবে দেখুন তো আপনার মেজাজ খারাপের সাথে সাথে আপনার ঘাম হচ্ছে, ব্লাড প্রেসার বাড়ছে, উদ্বেগ বেড়ে যাচ্ছে যা আপনার শরীর কে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটি করলে আপনার লাভ এর থেকে ক্ষতি বেশি তাই ধৈর্য ধরে মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা ভাবনা করুন নিজেকে নানান যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সব সমস্যার কিন্তু সমাধান আছে তাই দীর্ঘ লাইনও একটা সময়পর শেষ হবে এর জন্য আপনাকে খোঁজ নিতে হবে যে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে আর আপনার যদি কোন জরুরী ফোন করার থাকে এই ফাঁকে সেরে নিন। যাতে অপেক্ষা করার সময়টুকুও জলে না যায়, কেননা আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা সেকেন্ডে অনেক দামি।
আজীবন অপেক্ষা নয়ঃ
ধরুন আপনার কাছের কেউ বিদেশ থেকে ফিরবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু আয়োজন করা হবে। দেখা গেল তার আসার সময় এতই পিছিয়ে যাচ্ছে যে ধৈর্য ধরতে পারছেন না। তাই হঠাৎ করে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করে সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুনঃ Successful people in the world:পৃথিবীর ৪ জন সফল ব্যক্তির কাহিনী, ব্যর্থতা যাদের সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা