Panic Attack: পিছু ছাড়ছে না আতঙ্ক! অবহেলা নয়, হতে পারে প্যানিক অ্যাটাক

Outlinebangla: ‘প্যানিক’ (Panic) শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। তবে জানেন কি আমাদের দেশে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন প্যানিক অ্যাটাকে (Panic Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এটি যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কারোর হতে পারে। কিন্তু কি এই প্যানিক অ্যাটাক? (Panic Attack) কেনই বা হয়? এর থেকে বাঁচার উপায় কি? জানতে হলে পড়তে হবে আর্টিকেলটি। চলুন জেনে নিই।

প্যানিক অ্যাটাক কিঃ

চিকিৎসকদের মতে প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) একটি মানসিক রোগ যেটি সাধারণত প্রচন্ড ভয় এবং চাপ থেকে হয়ে থাকে। হটাৎ করে বুক ধড়পড় শুরু হয়, ঘামতে থাকে ও শ্বাসকষ্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে থাকে ব্যাক্তিটি। এই অবস্থাকেই প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) বলা হয়। প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মনে হয় তাদের সাথে ভয়ঙ্কর কিছু হতে চলেছে। তাদের এও মনে হয় যে তারা মারা যাচ্ছে ফলে বাঁচার জন্য প্রানপন চেষ্টা করতে থাকে। তবে এই ধারণা গুলো সম্পূর্ণ ভুল।
আরও পড়ুনঃ Smartphone: স্মার্টফোন কি অনিদ্রার কারন?

Panic Attack
Panic Attack:(ছবিঃ সংগৃহীত)

প্যানিক অ্যাটাকের কারণঃ

কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চাপ, উদবিগ্নতা যেমন পরীক্ষার চাপ, বন্ধুর সাথে ঝামেলা প্রিয়জনের মৃত্যু, ঘরে বা বাইরের কোনো খারাপ অথবা ভয়ের অভিজ্ঞতা এই ধরণের কয়েকটি পরিস্থিতি তৈরী হলে প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্যানিক অ্যাটাক পুরুষদের থেকে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে যে কোনো সময়ে যে কোনো বয়সেই প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) হতে পারে কিন্তু বেশি বয়সেও এটির সম্ভবনা বাড়তে লক্ষ্য করা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদরোগ, সোশ্যাল ফোবিয়া, হাইপোগ্লাইসিমিয়া ইত্যাদি রোগ থাকলে তাদেরকে সহজেই প্যানিক অ্যাটাক কাবু করতে পারে। প্যানিক অ্যাটাক আটকানোর তেমন কোনো উপায় এখনো নেই তবে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন আপনাকে দ্রুত এটির থেকে মুক্তি দিতে পারবে। সেগুলো হলো-
আরও পড়ুনঃ Be Happy: সুখ নেমে আসুক জীবনে..

লম্বা শ্বাস নিতে হবেঃ

প্যানিক অ্যাটাকের আশঙ্কা বুঝলেই সব থেকে প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো লম্বা শ্বাস নেওয়া। এর ফলে দ্রুত আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাবে। এতে প্যানিক অ্যাটাকের তীব্রতা ধীরে ধীরে কমে আসবে।

জল খেতে হবেঃ

গরমকাল হোক বা শীতকাল যে কোনো সময়েই জল আমাদের শরীরকে শান্ত শিষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই জল খেতে হবে পাশাপাশি চোখে মুখে জলের ঝাপ্টা দিলে আমাদের শরীর অনেক হালকা ও সতেজ হয়ে ওঠে। তাই প্যানিক অ্যাটাকের সময়ে সম্ভব হলে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিন এতে আক্রমণের পরে অনেকটা স্বস্তি বোধ করবেন। ফলে প্যানিক অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

মাংসপেশী শিথিল করতে হবেঃ

প্যানিক অ্যাটাক যখন হয় তখন আমাদের মনে হতে থাকে আমরা আমাদের শরীরকে আর কন্ট্রোল করতে পারছি না। এইসময় শরীরের কন্ট্রোল ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে মাংসপেশী শিথিল করার পদ্ধতিটি। তাই হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে পড়ুন আর মাংসপেশী গুলোকে শিথিল করার চেষ্টা করতে থাকুন।
আরও পড়ুনঃ Interesting Food Facts: জানেন কি খাবার না খেয়ে মানুষ ঠিক কতদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে?

Panic Attack
Panic Attack:(ছবিঃ সংগৃহীত)

মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবেঃ

প্যানিক অ্যাটাকের সময় মানসিক প্রস্তুতির ভীষণ প্রয়োজন কারণ প্যানিক অ্যাটাক একবার দেখা দিলে পুনরায় দ্বিতীয়বার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথম অ্যাটাকেই সতর্ক হওয়া উচিত। মানসিক প্রস্তুতি প্রথম অ্যাটাকের পরেই সুবিধাজনক অবস্থা তৈরিতে সাহায্য করে থাকে।

পছন্দের কাজ করতে হবেঃ

আমাদের মন যখন অশান্ত উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে তখন নিজেদের পছন্দমত কাজ করলে মনকে ভুলিয়ে রাখা যায় আস্তে আস্তে মনটা শান্ত হয়ে যায়। এটি প্যানিক অ্যাটাক থেকেও আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে। তাই যে পছন্দের কাজটি করলে আপনার মন শান্তি পাই সেই কাজটিই বেছে নিন এই সময়।

প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলতে হবেঃ

প্যানিক অ্যাটাকের সময়ে শরীরের সাথে সাথে আমার মন উত্তেজিত অশান্ত হতে থাকে যেটি এই সময়ে একদমই উচিত নয়। এর ফলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এই সময় মন কে শান্ত করতে প্রিয় মানুষের সাথে কথা বলা দ্রুত কার্যকরী একটি বিষয়।

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,919FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস