Internet addiction: অনলাইনে অ্যাডিকশন! কিভাবে বেরোবেন বুঝতে পারছেন না? জানুন বিস্তারিত

Outlinebangla: ইনস্টাগ্রাম রিল, ফেইসবুক ভিডিও আর হোয়াটস্যাপ স্টেটাস দেখতে দেখতে ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি সারাদিন কাটিয়ে দিই আমরা। দিন দিন এই অ্যাপ গুলো পুতুল বানিয়ে দিচ্ছে আমাদের (Internet addiction) । সারাক্ষণ এদের নেশা ঘিরে রেখেছে আমাদের, যা অন্য যেকোনো নেশা কে হার মানাবে। আর নেশা মানেই সেটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে আমাদের উপর। ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন ঘাটার ফলে অনিদ্রা, ঘাড়ে ব্যথা, চোখের ব্যাথার মতো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় (Internet addiction)। এছাড়াও মানসিক চাপ, উদ্বেগ, নিরপত্তাহীনতা থেকে শুরু করে ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত পরিমানে তথ্য গ্রহণ আপনার মনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে (Internet addiction)।

অনলাইন অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডার:

কারণে অকারণে ফোন নিয়ে বসে পড়া। চারিদিকে ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া নিয়ে এতো লেখালিখি এতো সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে যে ফোন ঘাটার ফলে নানারকম শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় তবুও আপনি কিছুতেই এই মায়াজাল থেকে নিজেকে বের করতে পারছেন না। এই বিষয়টিকেই অনলাইন অ্যাডিকশন ডিজঅর্ডার বা সেলফোন অ্যাডিকশন ডিজঅর্ডার বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ Call Recording: কেউ কি আপনার ফোন কল রেকর্ড করছে? কী করে বুঝবেন জানুন

Internet addiction
Internet addiction(ছবিঃ সংগৃহীত)

সেলফোন অ্যাডিকশনের লক্ষণঃ (phone addiction)

১) সকালে ঘুম থেকে চোখ খুলেই আগে ফোন চেক করেন কে কি মেসেজ পাঠালো, কটা লাইক হলো, কটা ভিউ হলো এগুলো যেন প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে আপনাকে।
২) পড়তে বসেছেন বা প্রয়োজনীয় কোনো কাজে হটাৎ ফোনে একটা নোটিফিকেশন এলো ব্যাস! দুমিনিট এর জন্য ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবলেন কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অবাক কখন যে দুমিনিট টা চোখের নিমেষে দু ঘন্টা হয়ে গেলো আপনি খেয়ালই করলেন না।
৩) প্রতিদিন মনে করেন এরকম করে কাজ বা সময়ে কোনোটাই নষ্ট করলে চলবে না কিন্তু কিছুক্ষন বাদে আবার সেই একই ভুল করে বসলেন। কিছুতেই নিজেকে আটকাতে পারছেন না।
৪) কাজের সময়ে, পড়ার সময়ে, খাওয়ার সময়ে, অথবা ঘুমোনোর সময়ে সবসময় ফোন লাগবেই যায় হয়ে যাক ফোনকে চোখের আড়াল করা চলবে না।
৫) রাস্তায় বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হলে কথা বলেন না পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে জানান তাকে দেখলেন তবু সামনাসামনি কথা বলেন না।
৬) এছাড়াও কিছুক্ষন ইন্টারনেট ব্রাউসিং করতে না পারলে উতলা হয়ে ওঠা, নিজেকে সবার আড়ালে সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থাপন করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ Excessive use of smartphones: স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা, বলছেন চিকিৎসকরা

Internet addiction
Internet addiction(ছবিঃ সংগৃহীত)

সমাধানঃ

১) সেল ফোনের অ্যাডিকশন কমাতে গেলে প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো যে সমস্ত অ্যাপ গুলো আপনার মনকে চালনা করার চেষ্টা করে সেই আপ গুলো যদি একান্ত প্রয়োজনীয় না হয় তবে সেগুলোকে ডিলেট করতে হবে।
২) এরপর রাতে আপনি যখন ঘুমোতে যান তার আগে নেট বন্ধ করে রাখবেন আর যদি ফোন অফ করে ঘুমোতে পারেন তাহলে তো খুবই ভালো হয়।
৩) পড়তে বসার এবং খেতে বসার আগে অথবা আপনার যে কোনো প্রয়োজনীয় কাজ করার সময়ে চেষ্টা করুন ফোন এবং ইন্টারনেট থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে সরিয়ে রাখতে।
৪) নিজের পরিবারের সাথে সময়ে কাটানো হোক বা আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা কিংবা কাছের কোনো বন্ধুর সাথে সময়ে কাটানো এই সমস্ত সুন্দর মুহূর্ত গুলোতে ফোন ব্যবহারের কথা একদম মাথা থেকে বের করে দিন।
৫) এছাড়াও আমরা অনেকেই খেয়াল করি গাড়ি চালানোর সময়ে, বাজারে বাজার করতে গিয়ে, বাসের মধ্যে এমনকি অনেকে রাস্তায় চলতে ফিরতেও ফোনের ব্যবহার করেন। সময়ের কাজ সময়ে না করে অকারণে ফোন ঘেটে কাজের ক্ষতি না করাই বুদ্ধির কাজ হবে।
৬) আপনি নিজের পছন্দের হবি বেছে নিন এবং সেটার মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। সেটা রান্না করা হতে পারে, ছবি আঁকা হতে পারে, বাগান করা হতে পারে, বই পড়া হতে পারে।

নিজেদের মধ্যেকার প্রবল ইচ্ছেশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আস্তে আস্তে এই কয়েকটা ছোট্ট পরিবর্তন করতে পারলেই আপনার সেলফোনের প্রতি অ্যাডিকশন অনেকটা কমে যাবে। আপনি এতদিন সেলফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে যে সমস্যা গুলোর সাথে লড়াই করেছেন সেগুলো থেকেও রেহাই পাবেন।

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,919FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস