Outlinebangla: আমরা প্রত্যেকেই একটু সুখ (Be Happy) ভোগের জন্য কত কিছুই না করে থাকি। তবে প্রত্যেকের সুখ খুঁজে পাওয়ার পিছনে একটা নির্দিষ্ট গল্প থাকে। সেটা হতে পারে কোনো লক্ষ্য পূরণের গল্প, গাড়ি কেনার গল্প, চাকরির পদোন্নতির গল্প। অনেকের ধারনা সেটা পেলেই সুখ (Be Happy) এসে ধরা দেবে। কিন্তু মানুষের চাহিদার শেষ নেই। নিজ চাহিদা বা পরিবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য আবার শুরু হয় ছোটা ছুটি। অবাক লাগলেও বাস্তবে এটাই হচ্ছে। আদতে এভাবে কি সুখ ধরা দেয়? মনে হয় হঠাৎ করে লটারি পাওয়া ব্যাক্তিও সুখের মুখ দেখেন না। সুখ (Happy) অনেকটাই কৃত্রিম। তাই অতিরিক্ত সুখের আশায় ছোটার থেকে মনোযোগ সরিয়ে অভ্যাস দিন কিছু বিষয়ে। তাহলেই মিলবে সুখের দেখা। চলুন জেনে নেবো তেমনি ৮ টি অভ্যাসের কথা।
How to Live a Happy Life
১) ইতিবাচক থাকুনঃ
পথ চলতে গেলে খারাপ মুহূর্ত আসবে। আর এটা সবার সঙ্গেই ঘটে। কিন্তু কখনোই হতাশ হওয়া চলবে না। কাউকে এই বিষয়ে অভিযোগ করাও যাবে না। সর্বদা ইতিবাচক থাকতে হবে। খারাপ মুহূর্ত গুলো নিয়ে চিন্তা করুন এবং সমাধান বের করুন। দেখবেন ভালো থাকবেন।
২) নিজের তারিফ করুনঃ
আপনি যে কোনো কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করলেই, নিজের তারিফ করবেন। নিজ নিজ পিঠ চাপড়ে বলবেন আমি পেড়েছি। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
৩) অর্থপূর্ণ আলোচনা করুনঃ
আপনি কি নিয়ে আলোচনা করছেন সেটার উপর সুখী হওয়ার সরাসরি যোগ থাকে। তাই পাড়ার মোড়ের আড্ডা হোক বা চায়ের ঠেকের আড্ডা সঙ্গীদের সঙ্গে সর্বদা অর্থপূর্ণ আলোচনা করুন। মনে রাখবেন পরনিন্দা, পরচর্চা এড়িয়ে চলতে হবে সকলকে।
৪) ব্যায়াম করুনঃ
ব্যায়াম হল সুস্থ্য থাকার চাবি কাঠি। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ১০ থেকে ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন। তাতে আমাদের শরীরে গ্যাবা নামের এক ধরনের অ্যাসিড নির্গত হয়। এটা এক ধরনের নিউরো ট্রান্সমিটার, যেটা আপনার মস্তিষ্কে প্রশান্তির অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। যা আমাদের ভালো কিছু ভাবতে শেখায়।
আরও পড়ুনঃ Cycling Benefits: যখন সু-স্বাস্থ্যের বন্ধু সাইকেল..
How To Be Happy In Life:
৫) ভালো সঙ্গী বাছুনঃ
সফল ও ভালো জীবনসঙ্গী সবার জীবনের চাওয়া। যে আমার সব কথা বুঝবে। তাই সঙ্গী বাছতে সচেতন হোন। ভালো সঙ্গী মানেই জীবন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।
৬) পর্যাপ্ত ঘুমানঃ
ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু বিশ্রাম নয়, বরং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও হয় ঘুমের মাধ্যমে। ঘুমের সময় সচেতন মস্তিষ্ক বিশ্রাম নেয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমান মন খারাপ ভাব, মনোযোগের ঘাটতি, আত্মনিয়ন্ত্রণের অভাব এক নিমেষেই কেটে যাবে।
৭) নতুন কিছু শিখুনঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভাবেন আমার আর কোনো কিছু জানার প্রয়োজন নেই। সব কিছুই আমার জানা। কিন্তু হঠাৎ এমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয়, যা আপনার পক্ষে করা সম্ভব না। আর তখনই বিপদে পরে যান। তাই সবসময় নতুন কিছু জানার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
৮) সরাসরি দেখা করুনঃ
ভার্চ্যুয়ালি নয়, বাস্তবে দেখা করুন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে মস্তিষ্ক সত্যিকারের সংযোগ বলে গণ্য করে।
আরও পড়ুনঃ Lucky Plants For Home: বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়িতে সুখ-শান্তি থাকবে কোন গাছ রাখলে? জানুন বিস্তারিত