আউটলাইন বাংলা হেল্থ ডেস্ক: বিভিন্ন কাজে উপকারী মধু, একথা সবার জানা। যারা চিনি খান না অথবা যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য দারুন উপকারী মধু (The benefits of honey)। রূপচর্চাই মধুর ব্যাবহার বহুদিন থেকে চলে আসছে আমাদের দেশে। আজ আমাদের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু শীতকালীন বিভিন্ন সমস্যায় মধুর ব্যাবহার (Use of honey in winter)।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা:
শীতকালে ঠোঁট ফাটা নতুন কিছু নয়। প্রায় সকলেরই ঠোঁট ফেটে যায়। এমনও অনেক মানুষ আছে যাদের ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ঠোঁটে মধুর প্রলেপ লাগালে ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক দূর হয়ে যায়। এতে ঠোঁট নরম থাকে এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
রোদের তাপে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া:
অতিরিক্ত রোদের তাপে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। নিয়মিত মধু ব্যবহারের ফলে সূর্যের রশ্মি ত্বকের গভীর স্তরগুলোয় হাইড্রেশন পুনরুদ্ধার করে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে (health benefits of honey)।

হালকা সর্দি-কাশিতে তুলসীপাতার সঙ্গে:
হালকা সর্দি-কাশিতে তুলসীপাতার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সামান্য গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে কাশির প্রকোপ কয়েকদিনেই কমে যায়। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কখনো মধু না খাওয়ানোই ভাল।
শীতে পোড়া ও কাটাছেরা:
সাধারণত শীতে পোড়া ও কাটাছেরা ঠিক হতে সময় নেয় অনেক। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান মানবদেহের ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এছারাও কাঁচা মধুতে থাকা এনজাইম এবং চুলের জন্য পুষ্টিকর। চুলে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নিস্তেজ চুলকে চকচকে হবে। মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার মধ্যে বহু গুন বর্তমান। সকাল বেলা চায়ের সঙ্গে চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তার বদলে ১ চামচ মধু দিয়ে খান, উপকার পাবেন। সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন।