Outlinebangla Desk: পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ভেঙে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ফের একবার সমালোচনার মুখে পড়ল পাকিস্তান। জন্মাষ্টমীর দিনে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের সাংঘর জেলার খিপ্রোতে অবস্থিত হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়।।
জানা যায়, সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দুরা মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিল। সেই সময় লোহার রড, লাঠি,পাথর নিয়ে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় মন্দিরে। হিন্দুদের মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর মন্দির ভাঙচুর করে। এমনকি শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে টুইট করেছেন প্রবাসী পাকিস্তানি সমাজকর্মী রাহাত জন অস্টিন। তিনি লিখেছেন, “সিন্ধের সাংঘর, খিপ্রোতে হিন্দু দেবতাকে অপমান করার জন্য একটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে কারণ তারা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন পালন করছিল। পাকিস্তানে, ইসলামের বিরুদ্ধে নিন্দার মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড হয় কিন্তু অমুসলিম দেবতাদের বিরুদ্ধে অপরাধের শাস্তি হয় না।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে প্রথমের দিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সদিকাবাদ জেলার ভঙ্গ শারিফ গ্রামের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ভিতর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা নিয়ে সবাই সরব হতে চাপে পড়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং মন্দির দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।