Outlinebangla Desk: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন কার্যত লকডাউন। চালু করা হয়েছিল কঠোর বিধিনিষেধ। সম্প্রতি ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সেই কার্যত লকডাউনের মেয়াদ। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই অনেক কিছুর উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও চালু হয়নি ট্রেন পরিষেবা। ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে ট্রেন বন্ধ রেখে ৫০% যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ডিজেলের দাম যেখানে আকাশ ছোঁয়া, সেখানে বাস মালিকরা জানিয়ে দিয়েছেন ভাড়া না বৃদ্ধি করলে বাস চালানো যাবে না।অন্যদিকে বাস চালাতে এবার বাস মালিকরা ডিজেলের পরিবর্তে ব্যবহার করছে কেরোসিন।
জানা গেছে, বর্ধমানের কম দূরত্বের বিভিন্ন রুটে কেরোসিন দিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। মেমারি, গুসকরা, কাটোয়া সব জায়গার ছবি এক। এমনকি কেরোসিনের সাথে মেশানো হচ্ছে মোবিল। একদিকে ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা প্রতি লিটার। অন্যদিকে করোনা আবহে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না বাসে। ফলে বাস মালিকদের আয় হচ্ছে না। যার জন্যই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
কেরোসিন,মোবিল দিয়ে বাস চালানোর ফলে এর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ অপূর্বরতন ঘোষ বলেছেন, ‘‘কেরোসিনে ডিজেলের তুলনায় শৃঙ্খলিত হাইড্রোকার্বন বেশি থাকে। ফলে, অসম্পূর্ণ দহন হয়। এতে কার্বন মনোক্সাইড ও ধূলিকণা বেশি হয়। এর ঘনত্ব এতটাই বেশি, যে মাটির ছ’-আট ফুটের উপরে উঠতে পারে না। পুরোটাই শরীরে ঢোকে। তাতে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, ফুসফুসের ক্ষতি, চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।’’