Outlinebangla: চেহারা যেমনই হোক না কেনো নিজের চেহারাকে ধরে রাখতে বা চেহারাকে সুন্দর করে তুলতে মানুষ কোনোকিছু করতেই বাকি রাখে না। কিন্তু জানেন কি চেহারার বয়স বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মানুষ তটস্থ হয়ে রয়েছেন? এটি একধরণের রোগে পরিণত হয়েছে! তবে কি সেই রোগ? কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব! জানতে হলে পড়তে হবে আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি। চলুন জেনে নিই।
রোগটির নামঃ
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন চেহারার বয়স বেড়ে যাওয়ার ভয় যখন মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন তাঁরা এটিকে এক মানসিক সমস্যার সাথে তুলনা করে থাকেন। মাত্রারিক্ত এই ভয়কে জেরনটোফোবিয়া (gerontophobia) বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ অখাদ্য খাওয়া যাদের অভ্যাস
রোগটির কারণ:(Gerontophobia)
মনোবিদদের মতে বয়স বেড়ে যাওয়ার ভয়ের বা জেরনটোফোবিয়ার (gerontophobia) অন্যতম কারণ হলো বয়স বাড়া নিয়ে আমাদেরই তৈরী সামাজিক ভ্রান্তধারণা। সমাজ যতই এগিয়ে যাক একটু নজর দিয়ে দেখলে দেখবেন আজও আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষ ভাবেন যৌবন হলো জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। যৌবন পেরিয়ে গেলো মানে জীবনের সব চলে গেলো আর কিছুই হবে না আমাদেরকে দিয়ে। নিজেদেরকে সমাজের আগাছা মনে করতে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে শুধু মাত্র সমাজে না, অনেকসময় নিজেদের পরিবারের লোকেদের কাছেও বিষয়টিকে সমান চোখে দেখা হয়। রোগব্যাধির সাথে সংসার করা অনেকের মতে বৃদ্ধ হওয়া মানেই শারীরিক রোগব্যধীর সঙ্গে সংসার করা। একইসঙ্গে মনে করেন, বয়স হয়ে যাওয়া মানে সমস্ত ইচ্ছে আবেগ স্বপ্ন গুলোকে গলা টিপে মেরে ফেলা কেবল মৃত্যুর দিন গোনাই তাদের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ Kleptomania: চুরি করা যখন মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি
বিশেষজ্ঞদের মতামতঃ
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন সময়ের সঙ্গে বয়স বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় এই বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা করার কোনো প্রয়োজন নেই কারন এটির কোনোভাবেই পরনির্ভরশীলতা বা দুঃখ কষ্টের সাথে সম্পর্ক নেই। তাই জীবনের অন্যান্য পর্যায়গুলির মতো এই পর্যায়টিতেও আনন্দের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ Medicine: ওষুধে হবে আরোগ্য লাভ, কীভাবে জানুন..
ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বাঁচুনঃ
সমস্যা জটিল হোক বা সহজ যেকোনো সমস্যা নিমেষে সমাধান করতে ইতিবাচক মানসিকতার জুড়ি মেলা ভার। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বয়স্ক ব্যাক্তিরাও অন্য বয়সের মানুষের মতো সমান মূল্যবান। যে কোনো ক্ষেত্রে তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছ, তারা নিজেদের জীবনকে নিজেদের মতো করে বাঁচতে, উপভোগ করতে পারে। এইসমস্ত ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মাথায় রাখলে সহজেই বৃদ্ধজনীত ভীতি (gerontophobia) থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। তাই আজই মন থেকে নেতিবাচক চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নিজেদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতাকে জাগিয়ে তুলুন। নিজে ভালো থাকুন অপরকেও ভালো রাখুন।