Outlinebangla Digital Desk: করোনা আবহের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল ভোজ্য তেলের দাম। তবে গত একমাসে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে দাম প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। খাদ্য মন্ত্রক দাম বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করেছে, সেগুলি হল-আন্তর্জাতিক বাজার দর, দেশীয় বাজারে চাহিদা ও ঘরোয়া উৎপাদনের মধ্যে ফারাক। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এই সমস্যা মেটানো যায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনার কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল তাতে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছিল। সঙ্গে চিন্তায় পড়েছিলেন বিক্রেতারাও। ব্যবসায়ী মহল জানিয়ে ছিলেন, ভারতে ভোজ্য তেলের উৎপাদন কম। এই কারনে ভোজ্য তেলের একটা বড় অংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তার উপর আন্তর্জাতিক বাজারে উত্থান-পতনের ভিত্তিতে দেশীয় বাজারে দামে পরিবর্তন হয়।
কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী ভোজ্য তেলের নয়া দাম (মুম্বইয়ের ভিত্তিতে)
১) গত ২ মে এক কিলোগ্রাম বনস্পতি তেলের দাম ছিল ১৫৪ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১৪১ টাকা।
২) গত ৫ মে এক কিলোগ্রাম সূর্যমুখী তেলের দাম ছিল ১৮৮ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১৫৭ টাকা।
৩) গত ৭ মে এক কিলোগ্রাম পাম তেলের দাম ছিল ১৪২ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১১৫ টাকা।
৪) গত ১৪ মে এক কিলোগ্রাম বাদাম তেলের দাম ছিল ১৯০ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১৭৪ টাকা।
৫) গত ১৬ মে এক কিলোগ্রাম সরষের তেলের দাম ছিল ১৭৫ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১৫৭ টাকা।
৬) গত ২০ মে এক কিলোগ্রাম সোয়া তেলের দাম ছিল ১৬২ টাকা। এখন তা কমে হয়েছে ১৩৮ টাকা।