বাজার চলতি অনেক ধরনের কেক আমরা খেয়ে থাকি। তাতে অনেক সময় কৃত্তিম গন্ধ এবং রঙ মেশানো থাকে। যেটা আমাদের অনেকেরই পছন্দ হয় না। কিন্তু সেই কেক যদি আমরা বাড়িতে তৈরী করি তাহলে তা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
আউটলাইন বাংলাঃ ১৩০০ শতাব্দীর ইউরোপে প্রথম এই সুস্বাদু খাবারটির উৎপত্তি হয়। ইউরোপীয়রা দুধরনের কেক তৈরি করতো। ফ্রুটস কেক আর জিঞ্জার ব্রেড। সেসময় কেক ছিল পাউরুটির মতো। আধুনিক প্রনালীতে কেক তৈরি শুরু হয় ১৭০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি, ইউরোপে। রেনেসাঁস ইউরোপকে দিয়েছিল আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি এসে কেক তৈরির উপকরণ কিছুটা বদলে গেল। এলো সাদা ময়দা, ইস্টের বদলে বেকিং পাউডার। এরপর এর সাথে যোগ হল মাখন, ক্রীম এইজাতীয় উপকরণগুলো। ফ্রান্সের Antonin Careme (১৭৮৪- ১৮০০) কে আধুনিক প্রেস্টি কেক তৈরির প্রথম শেফ হিসেবে গণ্য করা হয় (Easy cake making recipe)। ফ্রান্সের রান্নার ইতিহাসে এই তথ্য পাওয়া যায় ।
বাজার চলতি অনেক ধরনের কেক আমরা খেয়ে থাকি। তাতে অনেক সময় কৃত্তিম গন্ধ এবং রঙ মেশানো থাকে। যেটা আমাদের অনেকেরই পছন্দ হয় না। কিন্তু সেই কেক যদি আমরা বাড়িতে তৈরী করি তাহলে সেটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। বাচ্চা, বড়ো সকলেরই পছন্দের খাবার কেক। অনেক রকম কেকই ঘরে তৈরী করা যায়। অনেক কম খরচে আপনি বাড়িতে কেক তৈরি করতে পারেন। ডিম দিয়ে এবং ডিম ছাড়া দুরকম ভাবেই কেক তৈরি করা যায়। ডিম দিয়ে খুব সহজ পদ্ধতিতে, প্রেশার কুকারে কেক বানানো যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক-
স্পঞ্জ কেক বা ফ্রুট কেক
প্রয়োজনীয় উপকরণ(Easy cake making recipe):
ময়দা ১ কাপ – চিনি গুঁড়ো ১ কাপ – সাদা তেল ১ কাপ ( একটু কমও দেওয়া যেতে পারে) – ডিম ২ টি – বেকিং পাউডার ১ চা চামচ – খাবার সোডা ১/৪ চা চামচ – কাজু কিশমিশ – চেরি – মোরব্বা – ভ্যানিলা এসেন্স – দুই ছিপি।
যেভাবে বানাবেন:
প্রথমে একটি পাত্রে ময়দা, ব্রেকিং পাউডার, খাবার সোডা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
অন্য একটি পাত্রে দুটো ডিম খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। ফেটানোর সময় এক চামচ জল দিলে কেক নরম হবে। ডিম ভালো করে ফেটানো হয়ে গেলে তাতে গুঁড়ো চিনি দিয়ে ৫/৭ মিনিট ফেটানোর পর সাদা তেল দিয়ে আরেকবার ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে।
এরপর ময়দার মিশ্রণটি দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন, ডিম এবং ময়দার মিশ্রণটি একইভাবে মেশাতে হবে (যেমন, Clockwise করলে Anti Clockwise করা যাবে না), হাত দিয়েও ফেটানো যেতে পারে আবার কেউ যদি মনে করেন চামচ বা অন্য কিছু ব্যাবহার করবেন, তাও করতে পারেন। মিশ্রণটি যত ভাল হবে কেক তত নরম হবে। এরপর দুই ছিপি ভ্যানিলা এসেন্স আর ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ড্রাই ফ্রুটস আপনি নাও দিতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই।
দ্বিতীয় ধাপ (Easy cake making recipe):
এরপরে অন্য একটা এলুমিনিয়াম পাত্রের চারিদিকে খুব ভালো করে তেল মাখিয়ে পুরো অংশটায় ভাল করে ময়দা ছিটিয়ে দিন। এতে কেকটা হয়ে গেলে খুব সহজেই উঠে আসবে, নিচের অংশটাও পুড়ে যাবে না। পাত্রের ভেতর আলাদা করে কাগজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এখন ওই পাত্রের মধ্যে কেকের মিশ্রনটি ঢেলে ৩/৪ বার পাত্রটি ঝাঁকিয়ে দিন। এবার ওভেনে প্রেশার কুকার বসিয়ে ভালো করে গরম করে নিন। গরম হয়ে গেলে আঁচটা একেবারে কমিয়ে দিয়ে কুকারের মধ্যে একটা খাবার রাখার স্টিলের স্ট্যান্ড বসিয়ে দিন, তার ওপর কেকের পাত্রটা সাবধানে বসিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢাকনা লাগানোর আগে সিটিটা অবশ্যই খুলে নেবেন। প্রেশার কুকার ছাড়াও অন্য পাত্র আপনি ব্যাবহার করতে পারেন (হাঁড়ি,ডেকচিতেও করা যেতে পারে), একই ভাবে করতে হবে। আর সমান মাপের একটি ঢাকনা আপনাকে জোগাড় করতে হবে।
৪০ মিনিট পর খুলে দেখে নিন। সাজাতে চাইলে ওপরে কিছু ড্রাই ফ্রুটস দেওয়া যেতে পারে। আরো কিছুটা সময় লাগবে। আবার ঢাকা বন্ধ করে দিন। কিছুক্ষণ পর খুলে একটি ছুরি বা কাঁটা চামচ দিয়ে দেখতে হবে হয়েছে কিনা। ছুরি বা চামচের গায়ে যদি কিছু না লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার কেক হয়ে গেছে। একটু ঠান্ডা হলে পাত্র টি প্রেশারকুকার থেকে বের করে আনুন, এবার চারিপাশটা ছুরি দিয়ে চেঁচে পাত্রটা উল্টে দিলেই কেক উঠে আসবে। আপনার পছন্দ মতো কেটে পরিবেশন করুন।
লিখেছেন- সুমনা দে