Types Of Kali: বিভিন্ন রূপে পূজিতা হন মা কালী, শক্তির আরাধনার আগে দেখুন মা কালীর ১১টি রূপ

Outlinebangla: প্রত্যেক বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামা পুজো (Kali Puja 2022) পালিত হয়। অমাবস্যার রাতে আলোকসজ্জা ও আতসবাজির শব্দের মধ্যেই সারা রাত ধরে সম্পন্ন হয় কালীপুজো (Kali Puja 2022)। এ বারের কালীপুজো পড়েছে ২৪ অক্টোবর, সোমবার। ২৪ অক্টোবরের সন্ধ্যে ৪ টে ৫৭ মিনিট থেকে ২৫ অক্টোবর ৪টে ২৬ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে। অনেকেই মনে করেন শক্তির সাধনাতেই মোক্ষ ও মুক্তি। তাই কালীপুজোর মাহাত্ম্য বিপুল। আমরা অনেকেই জানি মা কালীর বিভিন্ন রূপে পূজিত হন। শক্তির দেবীর (GODDESS KALI) সেই রূপ গুলি তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। চলুন দেখে নেওয়া যাক (Types Of Kali)।

১)সিদ্ধকালী: কালীপুজোর দিন অনেক জায়গায় সিদ্ধকালীর আরাধনা করা হয়। মূলত কালী মায়ের সাধকেরা সিদ্ধকালীর পুজো করে থাকেন। গৃহস্থ বাড়িতে কালীর এই রূপ পুজো হয় না। সিদ্ধকালীর দু’টি হাত, দেবীর ডান পা শিবের বুকে এবং বাঁ পা থাকে তাঁর দু’পায়ের মাঝখানে। এই দেবী অমৃত পানে সন্তুষ্ট থাকেন। কালীর এই রূপ ভুবনেশ্বরী দেবী নামেও পরিচিত।

২)দক্ষিণাকালী: কালীর সবচেয়ে জনপ্রিয় রূপ হল দক্ষিণাকালী। এই কালীর রূপ মহাকালী এবং শ্মশানকালী থেকে আলাদা। দক্ষিণ দিকের অধিপতি যম, যে কালীর ভয়ে পালিয়ে যায়, তার নামই দক্ষিণাকালী। দক্ষিণা কালীকে শিবের সঙ্গী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দক্ষিণাকলীর সারা শরীর নীল বর্ণের, তাঁর মূর্তি ক্রুদ্ধ, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশ, চারটি হাত এবং গলায় থাকে মুণ্ডমালা। বাম দিকের দুই হাতে নরমুণ্ড এবং খড়গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা।

৩)মহাকালী: দেবী কালীর একটি বিশেষ রূপ হল মহাকালী। এই দেবীর দশটি মাথার মতো দশটি হাত এবং দশটি পা থাকে। এই রূপে তিনি দশ মহাবিদ্যা বা “মহাজ্ঞান” এর প্রতিনিধিত্ব করেন। দশ হাতেই রয়েছে অস্ত্র। তার দশ হাতের প্রত্যেকটির একটি আলাদা প্রয়োগ রয়েছে , তবে এগুলির প্রত্যেকটিই একেকটি দেবতার প্রতিনিধিত্ব করে। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড থাকে। ভূত চতুর্দশীর দুপুরে এমনই মহাকালীর সাধনা করা হয়।

৪)শ্মশান কালী: শ্মশান কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম বিদ্যা কালী বা কালিকার এক রূপ। প্রাচীন কালে ডাকাতেরা দেবীর এই রূপের আরাধনা করত। মূলত শ্মশানেই তাঁর আরাধনা। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাসে এই দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়।

৫)ফলহারিণী কালী: গৃহস্থ বাড়িতে সুখ, শান্তি বজায় রাখতে কালীর এই রূপকে আরাধনা করা হয়।

৬)রক্ষাকালী: দক্ষিণা কালীর একটি রূপ হল রক্ষাকালী। কথিত, প্রাচীন কালে লোকালয়ের রক্ষার জন্য এই দেবীর পুজো করা হত। এই দেবীর বাহন সিংহ।

৭)কাম্যাকালী: কালীর আর এক রূপ কাম্যকালী। এই পুজোর নিয়ম বিধি দক্ষিণা কালীর মতোই। সাধারণত, অষ্টমী, চতুর্দশী অমাবস্যা পূর্ণিমা ও সংক্রান্তির মতো তিথিতেও কাম্যাকালীর আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ Schizophrenia: ভূত এবং ভগবানের আসল রহস্য

৮)গুহ্যকালী: কালীর এই রূপের গায়ের রং গাঢ় কালো। গলায় থাকে ৫০টি নরমুন্ডের হার এবং কানে শবদেহের আকারের অলঙ্কার থাকে। শাস্ত্রে কালীর এই রূপকে ভয়ঙ্করী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

৯)চামুণ্ডা কালী: মা কালীর আদিশক্তি হল চামুণ্ডা। তিনিই আবার ভগবতী দুর্গা। শাস্ত্রে কথিত আছে, চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে হত্যা করে তিনি ‘চামুণ্ডা’ নামে পরিচিত হন।

১০)ভদ্রকালী: বারোয়ারি মন্দিরে দেবীর এই রূপের পুজো করা হয়। ভদ্র শব্দটি ব্যবহার হয়েছে কল্যাণ অর্থে এবং কালী শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে জীবনের শেষ সময় বোঝাতে।

১১)শ্রী কালী: দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ শ্রী কালী। এই রূপে দেবী দারুক নামে এক অসুরকে বধ করেছিলেন। পুরাণ মতে, কালীর এই রূপ মহাদেবের কণ্ঠে প্রবেশ করে তাঁর কণ্ঠের বিষে কৃষ্ণবর্ণা হন এবং পরবর্তীকালে মহাদেব শিশু রূপে স্তন্যপান করে দেবীর শরীর থেকে বিষ গ্রহণ করেন।

সম্পর্কিত পোস্টগুলি

আমাদের ফলো করুন

3,918FansLike
42SubscribersSubscribe

না পড়লেই মিস