Outlinebangla: ২০১৫ এর নেপালের ভূমিকম্প হোক বা ইরাক-আফগানিস্তানের যুদ্ধ, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা বা কোভিড লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি সবই ধরা পড়ত তাঁর ক্যামেরায়। সেই পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি (Danish Siddiqui) তালিবানের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গেলেন। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
পেশার তাগিদে সিদ্দিকি গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে। তালিবানি হামলায় বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। রয়টার্স (Reuters) সংবাদ সংস্থার হয়ে তিনি যান সেখানে। কিন্তু আর ফেরা হল না। বৃহস্পতিবার রাতে কান্দাহারে তালিবানি হামলায় প্রাণ চায়। সংবাদসূত্রে জানা যায়, কান্দাহারের মূল বাজার এলাকা স্পিন বোলডাক দখল করে তালিবান, তা উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে আফগান বাহিনী। সেনা বাহিনীর সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকি (Danish Siddiqui)। প্রথমবার সিদ্দিকির দিকে অস্ত্র ছোড়া হলেও ভাগ্যের জেরে বেঁচে যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার ভাগ্য আর সাথ দেয় না।
ফের হামলায় সিদ্দিকি সহ এক আফগান সেনা অফিসারও মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবর টুইট করে জানান ভারতে আফগান রাষ্ট্রদূত ফারহিদ মামুনদাজি। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে জানাচ্ছি যে, গত রাতে কান্দাহারে নিজের কাজ করার সময় নিহত হয়েছেন পুলিত্জার জয়ী ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানেশ সিদ্দিকি। তিনি আফগান সেনার সঙ্গে ছিলেন। অতর্কিতে জঙ্গিদের আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে তাঁর।’
অন্যদিকে, দানিশের মৃত্যুতে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে নিন্দা করে কড়া বার্তা দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রীংলা বলেন, ‘নতুন প্রযুক্ত তুলে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীদের হাতে। এর সাহায্যে জঙ্গিরা মানবিক সংস্থাগুলির কাজেও বাধা দিচ্ছে। সারা বিশ্বে যেভাবে মানবতা সংকটের মুখে, সেদিকে এখনই নজর দেওয়া উচিত রাষ্ট্সংঘের।’
প্রসঙ্গত, দানিশের বাড়ি মুম্বইয়ে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। চাকরি জীবন শুরু হয় ইন্ডিয়া টুডের (India Today) টেলিভিশনের মাধ্যমে। এরপর রয়টার্সে চিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য তিনি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন।