Outlinebangla Desk: ভারতের সর্বোচ্চ বীরত্ব পদক পরমবীর চক্র (Parambir Chakra)। যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাহস ও দুঃসাহসিকতার পরিচয় ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ সেনাদের এই সম্মান দেওয়া হয়। এটি “Wheel of the Ultimate Brave” নামেও পরিচিত। তবে এই মডেলটির পেছনে আছে এক অজানা ইতিহাস। এই মেডেলটি তৈরি করেছেন এক মহিলা সাবিত্রী খানোলকার, যিনি জন্মসূত্রে ছিলেন সুইস। কিন্তু মনেপ্রাণে ছিলেন ভারতীয়।
১৯১৩ সালে সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন সাবিত্রী খানোলকার। তাঁর আসল নাম হল ইভ ইভোনে ম্যাডে দে মারোস। তিনি সুইস নাগরিক হলেও বিয়ের পর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা হন। ব্রিটেনের রয়্যাল মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণরত এক ভারতীয় জওয়ান বিক্রম খালোনকরের প্রেমে পড়েন সাবিত্রী দেবী। এরপরেই তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পর নাম বদল করে ইভ ইভোনে ম্যাডে দে মারোস হয়ে যান সাবিত্রীবাঈ খানোলকার।পরবর্তীকালে তিনি ভারতের সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য সবকিছুর অনুরাগী হয়ে যান এবং ভারতকে নিজের দেশ বলে মনে করতে থাকেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হীরালাল অটলকে ব্রিটিশদের ভিক্টোরিয়া ক্রসের মেডেলের ন্যায় একটি মেডেল তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। হীরালাল অটলের অনুরোধে সেই মেডেল তৈরি করেন বিক্রম খালোনকরের স্ত্রী সাবিত্রী খানোলকার। বেগুনী রঙের ৩২ মিলিমিটার দীর্ঘ একটি রিবনে ঝোলে মেডেলটি।১.৩৭৫ ইঞ্চির মেডেলটির মাঝে রয়েছে অশোক স্তম্ভ এবং চারপাশে রয়েছে দেবরাজ ইন্দ্রর অস্ত্র বজ্র। এই পদক মরণোত্তরও প্রদান করা হয়। এখনও অবধি ভারতে ২১ জনের মধ্যে ১৪ জনকে এই পদক মরণোত্তর দেওয়া হয়েছে।