Outlinebangla: গোলাপজল হলো এমন এক ধরণের উপাদান যেটি টোনার হিসাবে ত্বকের ওপেন পোরস খুলতে, ময়শ্চরাইজার হিসাবে ত্বককে ভালো রাখতে এমনকি ক্লিনসার অর্থাৎ মুখ পরিষ্কার করতেও ব্যবহৃত হয়, তবে চুল সুস্থ সুন্দর রাখতে গোলাপজল এর ব্যাবহার অনেকেই জানেন না (Benefits of rose water)। বিভিন্ন ধরণের ঘরোয়া ফেস মাস্ক তৈরির সময় এটিকে ব্যবহার করা হয়। শুধুই যে ত্বকের যত্নেই গোলাপজল ব্যবহার করা হয় এরকম একেবারেই নয় তবে গোলাপের সুগন্ধিযুক্ত এই তরল চুলের যত্নেও বেশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের চুলের যত্নে গোলাপজল কতটা উপকারী তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
চুল সুস্থ সুন্দর রাখতে গোলাপজল এর উপকারিতাগুলি:
এই ফুলটির পাপড়িগুলোকে জলে কিছুক্ষণ ডিস্টিল করে অর্থাৎ ফুটিয়ে নিয়ে যে তরলটি পাওয়া যায়, সেটিই গোলাপজল। প্রাকৃতিক সুগন্ধি হিসেবে সুবাসিত এই তরলটিকে ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিকে ভর্তি পারফিউমের প্রাকৃতিক বিকল্প এই গোলাপ জল। মিষ্টি গন্ধের পাশাপাশি গোলাপজলের নানান ওষধি গুণ রয়েছেন।এটি রান্নাঘরেও রান্নার উপাদান হিসাবেও কাজে লাগে।
চুলকে মজবুত করতে:
আপনার প্রতিটি চুল মজবুত করতে অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, ভিটামিন, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সমৃদ্ধ গোলাপজল খুবই কার্যকরী । এটি চুল ওঠা, চুল ভাঙাঝরা কমানোর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি ঘটাতেও সক্ষম। এক কথায় আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যর উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে গোলাপজলের জুড়ি মেলা ভার।
স্ক্যাল্প স্নিগ্ধ রাখতে :
স্ক্যাল্পে যেকোনো ধরণের অস্বস্তি হলেই তৎক্ষণাৎ গোলাপজল ব্যবহার করুন । কারণ এই জলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরুর গুন রয়েছে যেগুলো আমাদের মাথার প্রদাহ ও চুলকানি কমাতে ভীষণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
খুসকির হাত থেকে বাঁচাতে :
যেহেতু পর্যাপ্ত পরিমানে আর্দ্রতা রয়েছে গোলাপজলে তাই এই উপাদানটির জুড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। খুসকি হলে মাথা চুলকোয় এবং জ্বালাও করে। এছাড়া নিজস্ব অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী গুন বর্তমান গোলাপের ফলে এই জলটি মাথার মাথার ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। খুসকি চোখে পড়ার মতো কমে যায় যখন স্ক্যাল্পের প্রতিরোধক্ষমতা আগের মতো ফিরে আসে।
চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে :
ভিটামিন ডি, সি, ই ও বি 3 তে পরিপূর্ণ গোলাপজল। আমাদের চুল, ত্বক সর্বোপরি শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুষ্টি উপাদানগুলো। সরাসরি স্ক্যাল্পে এই জলটি স্প্রে করলে ত্বক আর চুলের ফলিকলগুলোর গভীরে সমস্ত ভিটামিনগুলি ঢুকে পুষ্টি জোগাবে ফলে খুব দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটবে।
আরও অন্যান্য লেখাগুলি পড়ুন-
১। আধুনিক জীবনযাত্রা যেভাবে শরীরের সঙ্গে মনের ক্ষতি করছে
২। Cycling Benefits: যখন সু-স্বাস্থ্যের বন্ধু সাইকেল
৩। আপনার পছন্দের শাড়ি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে যেভাবে যত্ন নেবেন
চুলকে কন্ডিশন রাখতে :
এই জলটির আর্দ্রতাগুণ অনেকটাই বেশি, যে কারণে শুষ্ক ত্বকের মোকাবিলা করতে গোলাপজল অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত, বিশেষজ্ঞরা সেরকমই পরামর্শ দিয়ে থাকেন । ফলে শুষ্ক চুলের লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই গোলাপজল ভীষণ ভালো কাজ করে। যাদের বাইরে ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হয় তাদের চুল রুক্ষ হয়ে গেলে গোলাপজল ব্যবহার করা বেশ ফলপ্রসু হবে। একটি স্প্রে বটলে গোলাপজল ভরে সবসময় সঙ্গে রাখুন, প্রয়োজন হলেই চুলে স্প্রে করে নিন। এছাড়াও চুল আর্দ্র ও নরম করে তুলতে,চুলের শেষভাগ শুষ্ক হলে,ফাটা হলে গোলাপজল স্প্রে করে নিন ভালো ফল পাবেন।