আউটলাইন বাংলা ডিজিটাল ডেস্কঃ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে ‘ওম’ শব্দটি মহাবিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হাজার হাজার বছর ধরে এটি উচ্চারণ করে আসছে বহু হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। ‘ওম’ শব্দটির শক্তি অবিশ্বাস্য। প্রাচীন যুগে অনেক মুনিঋষি তাদের আত্মাকে মহাবিশ্বের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ‘ওম’ শব্দটি বহুবার উচ্চারণ করতেন। ‘ওম’ শব্দটি সঠিকভাবে জপ করলে আপনার দেহে প্রচুর পরিমাণে ইতিবাচকতা শক্তি সঞ্চয় হবে। সাথে সাথে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও কিছু আশ্চর্যজনক সুবিধা রয়েছে। জেনে নিন ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণে কী কী উপকার পাবেন।
(১) প্রথমত ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণের সময় সর্বপ্রথম আপনাকে সোজা হয়ে বসতে হবে, যা মেরুদণ্ডের জন্য খুব উপকারী। এবং এই শব্দের কম্পন মেরুদণ্ডের জন্য উপকারী।
(২) ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করার সময় যে কম্পন তৈরি হয় তা থাইরয়েড গ্রন্থির জন্য অতন্ত্য উপকারী। এছাড়াও হৃদযন্ত্র সচল রাখে।
(৩) ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করার ফলে আপনার মন অনেকটা শান্ত হবে, আস্থিরতা ভাব কমে যাবে। শুধু তাই না আপনাকে আপনার অন্তরের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকটা সহায়তা করে।
(৫) ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করার ফলে বেশি দিন ধরে তারুণ্য বজায় রাখে। বাড়ে একাগ্রতা।
(৬) আপনার বাড়ির নেতিবাচকতা প্রভাব আপনার শরীর ও মনে পরতে পারে। তাই প্রতিদিন ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করলে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়ে যাবে।
(৭) ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করলে আপনার স্ট্রেসের স্তর হ্রাস পায়। এটি হতাশার জন্যও উপকারী।
(৮) কোনো কাজে মনঃসংযোগে আসছে না ‘ওম’ শব্দটি উচ্চারণ করলে ধীরে ধীরে মন নিয়ন্ত্রণে আসবে। জীবনে সার্বিকস্তরে উন্নতির জন্য ‘ওম’ শব্দটি অবশ্যই প্রতিদিন উচ্চারণ করা উচিৎ।