Outlinebangla Digital Desk: অতিমারির কারণে নষ্ট হয়েছে স্বাভাবিক জীবন। সবই প্রায় বন্ধ। ঘরবন্দি মানুষ। সবথেকে বেশি এর প্রভাব পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পড়াশোনার মাধ্যম এখন অনলাইন। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায় নি, সেখানে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এবার তাই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এল উট। শুনে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। তার পিঠে নেই কোন সওয়ারি। বরং দুদিকে ঝুলে রয়েছে অসংখ্য বই।
করোনার আবহে অন্যান্য দেশের মতোই পাকিস্তানের অবস্থা। ইন্টারনেটের অভাবে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ। তাই ছোট ছোট শিশুদের পড়াশোনায় সাহায্য করছে ওই উটটি। উটটির নাম রোশন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, পাকিস্তানের বালুচিস্তানের জেলা কেজ। সেখানে একাধিক গ্রামে ছোট ছোট শিশুদের কাছে বই পৌঁছে দেয় উটটি। উটের শরীর হয়ে উঠেছে আস্ত এক লাইব্রেরী। প্রত্যেকটি গ্রামে সপ্তাহে তিনদিন করে বই নিয়ে যায় উটটি। প্রত্যেক জায়গায় দু’ঘণ্টা করে থাকে। পড়ুয়ারা নিজেদের প্রয়োজন মতো বই নেয়। পরের দিন উটটি গ্রামে গেলে, তা ফেরত দিয়ে দেয়।
জানা গেছে, ‘ক্যামেল লাইব্রেরী’ নামক এই প্রকল্পটি শুরু করেছেন স্থানীয় এক হাইস্কুলের প্রিন্সিপ্যাল। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা যাতে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই কারণেই উটের সাহায্য নিয়ে এই ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তাঁর এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে আরও দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে- ‘ফিমেল এডুকেশন ট্রাস্ট’ এবং ‘আলিফ লায়লা বুক বাস সোসাইটি’