আউটলাইন বাংলা ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে ভারতরত্ন ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের বাড়ি সংরক্ষণের পরিবর্তে ভেঙ্গে ফেলা হল কমপ্লেক্স বা বহুতল তৈরি করার জন্য। ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওনার নিজের আত্মীয়রাই। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর হাদহা সরাইয়ের এই বাড়িটি ১৯৩৬ সালে ওস্তাদ বিসমিল্লা খান কিনেছিলেন, এবং তখন থেকেই তিনি পুর জীবন কাটিয়ে ছিলেন এই বাড়িতেই। জানা যায় ওই বাড়ির একটি দোতলা ঘরের মধ্যে রেয়াজ করতেন তিনি।
ভারতরত্ন ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের কাছে সুযোগ ছিল বিলাসবহুল জায়গায় গিয়ে জীবনযাপন করার। সুযোগ ছিল কোনো পশ্চিমী দেশে গিয়ে নাগরিকত্ব নেওয়ার। কিন্তু তিনি কখনই হাদহা সরাইয়ের এই বাড়িটি ছেড়ে যেতে চায়নি, কারন এই বাড়িটিকেই একান্ত আপন বলে জানতেন। ২০০৬ সালে বিসমিল্লা খানের মৃত্যুর পর, তাঁর শিষ্য থেকে শুরু করে ভক্তরা চেয়েছিলেন এই বাড়িটিকে মিউজিয়াম করা হোক। এই আবেদনে সারা মেলেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার বা কেন্দ্রের।
তবে এই ঘটনা জানার পরই বিসমিল্লার পালিতা কন্যা সোমা ঘোষ বলেছেন “ওটা তো শুধু একটা ঘর নয়, সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে একটি প্রবিত্র স্থান ছিল। তিনি জানান আমি অবাক হচ্ছি, বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলার পর তাঁর মহামূল্যবান জিনিসপত্রগুলোও বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এবং তিনি আবেদন জানান সব জিনিসপত্রগুলি সংরক্ষিত করার জন্য। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতার দিন লাল কেল্লাতে সানাই বাজিয়েছিলেন ওস্তাদ বিসমিল্লা খান। এরপরই ২০০১ সালে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়। গত ১২ আগস্ট বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। তবে তাঁর আত্মীয়রা এই ঘটনা অস্বীকার করেছে। আগামী ২১ আগস্ট বিসমিল্লা খানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী, আর তার আগেই এমন ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।