আউটলাইন বাংলা ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। নিয়মিত রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। রাজ্যের অবস্থাও বেহাল। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৭১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। কলকাতাতে আক্রান্ত হয়েছে দু’হাজার। সংক্রমণের হার কমানোর জন্য রাজ্য সরকার কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
গত বছর অতিমারীর সময় রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছিল সেই নির্দেশিকাগুলিই ফের জারি করতে বাধ্য হল প্রশাসন। এগারো দফা নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। মানুষের জনসমাগম রুখতেই এই নির্দেশিকা। নির্দেশিকা গুলি হল..
১. জনসমাগম হয় এমন স্থানে, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় প্রশাসনকে এর নজরদারি চালাতে হবে৷
২. সরকারি–বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প–বাণিজ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে একবার সম্পূর্ণ স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷
৩. বাজারগুলিতে স্যানিটাইজেশন করতে হবে।
৪. বাজার, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে৷
৫. দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে। যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয়৷
৬. রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রোজ কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের শিফটে অফিসে আনতে হবে৷
৭. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা শুরু করতে হবে৷
৮. কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কর্মীরা মাস্ক পরেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন৷
৯. শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং–এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷
১০. স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিতে আগের গাইডলাইনই মানতে হবে৷
১১. করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তৈরি রাখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিয়মে বাঁধতে হবে।
এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে গাইডলাইনস না মানলে প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।