Outlinebangla Digital Desk: বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম।একদিকে ছিলেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোটযুদ্ধে ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে ফের একবার আদালতে লড়াই শুরু হচ্ছে।
গত ২ মে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের সময় সবার নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে।গণনা শুরুর প্রথম থেকেই মমতা এগিয়ে ছিলেন। পরে আবার শুভেন্দু এগিয়ে যান। এরপরে ঘোষণা করে দেওয়া হয় ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়। বরং ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছেন। এরপরই তৃণমূলের তরফে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। মমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে পুর্নগণনার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দেয়। ভোটের রেজাল্ট এর একমাস পরে নন্দীগ্রামের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মুখ্যমন্ত্রী।সূত্রের খবর, শুক্রবার অর্থাৎ আজকে সকাল ১১ টায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলাটি উঠবে। দুই তরফের আইনজীবী হাজির থাকবেন।
How do you lose an election twice? First, at the hustings and then, like a sore loser, challenging people’s verdict in the court.
It would be fascinating to see Mamata Banerjee suffer the humiliation of Nandigram defeat twice over.
— Amit Malviya (@amitmalviya) June 17, 2021
এই প্রসঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালব্য টুইটে মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, “হেরেও জনগণের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে একমাত্র উপায় হচ্ছে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইন অনুসারে ইলেকশন পিটিশন করা। নিয়ম হচ্ছে ভোট প্রক্রিয়া শেষে দেড় মাসের মধ্যে এই পিটিশন জমা দিতে হয়। হাইকোর্টে এই ধরনের মামলার শুনানি শুরু হলে টানা শুনানি চলে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন গণনা নিয়ে তাঁর অভিযোগ আছে। সঙ্গে অন্যান্য অভিযোগ আছে। নিয়ম মেনেই মুখ্যমন্ত্রী দেড় মাসের মধ্যে সেই পিটিশনটি জমা দিয়েছেন। ২ মে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। ১৭ জুন দেড় মাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পিটিশন দায়ের করায় শুক্রবার থেকে মামলা শুরু হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছিলেন সেই প্রতিশ্রুতি মতোই তিনি কাজ করেছেন।”