Outlinebangla: আমরা প্রত্যেকেই ছোট বেলায় বাড়ির গুরুজনদের কাছ থেকে একটি বিশেষ কথা শুনে বড়ো হয়েছি। কথাটি হোলো মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে (Benefits of Reading Books), মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। তবে আধুনিকরনের যুগে সকাল, দুপুর কিংবা রাতে বই পড়ার অভ্যাস এখন অতীত। কারণটা আর কিছুই না স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। তাই বই পড়ার বাদ দিয়ে যুবসমাজ ডুবেছে ওয়েব সিরিজ দেখার নেশায়। বই পড়া, বই পড়ার অভ্যাস করা এগুলো আমাদের খুবই চেনা কয়েকটা শব্দ। আচ্ছা বই পড়া কি শুধুই ভালো অভ্যাস? নাকি বই পড়ার কিছু উপকারিতাও আছে!
চলুন আমরা জেনে নেবো বই পড়লে আমাদের মধ্যে কি কি পরিবর্তন ঘটে (Benefits of Reading Books):
আমাদের চিন্তা ভাবনার জগতের বিকাশ ঘটাতে, সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে বই-এর ভূমিকা সবথেকে আগে। আমরা যখন আমাদের পছন্দমত কোনো বই মনোযোগ দিয়ে পড়ি তখন প্রতিদিনকার ব্যাস্ত জীবন থেকে স্বস্তি পাই, আমাদের ভারী ভারী চিন্তাভাবনা গুলো ক্ষণিকের জন্য হলেও কোথাও হারিয়ে যায়। ফলে আমাদের মন কিছুটা হলেও এনার্জি পাই।
আরও পড়ুনঃLanguages: মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য ভাষা শিখব কেন?
মাঝে মাঝে আমরা আমাদের জানার বাইরে গিয়ে যখন একটু কঠিন বই অর্থাৎ চ্যালেঞ্জিং বই পড়তে শুরু করি। ঠিক তখনই ওই চ্যালেঞ্জিং বই-এর পাঠ্য সমূহকে বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের চর্চা শুরু হয়ে যায়। আমাদের নিজেদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে বই (Book) থেকে পড়া কিছু বিষয় সংযোগ করতে পারি। যেটা আমাদের ভালোলাগার কারন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যেহেতু গভীরভাবে মস্তিস্ক খাটিয়ে পড়ছি সেহেতু এটি আমাদের মস্তিষ্কের কোষ গুলোকে সতেজ করে তুলতে সাহায্যে করছে। ডিমনশিয়া বা ভুলে যাওয়া রোগ অনেকেটা কমে যায় বই পড়ার অভ্যাসের ফলে (Benefits of Reading Books)। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে ইয়েল ইউনিভার্সিটির এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসের রিপোর্ট এই তথ্যটির সত্যতা প্রমান করেছে।
ডিপ রিডিং (Benefits of Reading Books):
প্রাত্যহিক জীবনে আমরা অনেকেই আছি যারা বারবার চেষ্টা করেও নিদিষ্ট কোনো লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারি না। তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেডিটেশন করতে, তারা যদি বই পড়েন বিশেষ করে ডিপ রিডিং করতে পারেন তাহলে এই সম্যসার অনেকেটা সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পরুনঃ The unburnable book: যে বই আগুনেও পুড়বে না
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রতিদিনকার কাজগুলি বিভিন্ন রকম ডিভাইস এর দ্বারা করে থাকেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিক ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস আমাদের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। পড়া, টাইপ করা, অফিসের কাজ সবকিছুতেই ডিভাইস। কিন্তু এই ডিভাইস গুলো আমাদের মনকে রোবোটিক করে তুলছে। আমাদের অস্বস্তির কারণও কখনো কখনো এই ডিভাইস-ই। কিন্তু অপরদিকে বই-এর পাতা মধ্যেকার ঘ্রান পড়ার প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এ যেন এক প্রতিক্রিয়াবিহীন নেশা। বই পড়ার নেশা এক সুন্দরতম নেশা যা আমাদের মনকে দেয় শান্তি, বেঁচে থাকার শক্তি। তাই বই বর্তমান সময়ে মুঠো ফোন ছেড়ে বই পড়ুন, আর নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলুন।