Outlinebangla Digital Desk: প্রতিবছর সাইক্লোনে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় উপকূলবর্তী এলাকা। প্রতিবারই এলাকা প্লাবিত হয়ে বিপদের মুখে পড়তে হয় বহু মানুষকে। গতবছর আমফানের প্রভাবে সুন্দরবনের প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। তবে এইবছর ঘূর্ণিঝড়ের ‘যশ’-এর প্রভাবে প্রবল জোয়ারে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন।
বুধবার সকালে ওড়িশা উপকূলে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়ে। একদিকে ঘূর্ণিঝড় যশ ও অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের প্রভাবে উত্তাল হয়েছিল বঙ্গোপসাগর। জোয়ারের ফলে জলস্তর অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। বনবিভাগের একাধিক কর্মকর্তার দাবি, গতবছরের ঘূর্ণিঝড় আমফানের থেকে এইবারে সুন্দরবনে এর থেকে দেড় ফুট জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মিষ্টি জলের সব পুকুর প্রায় তলিয়ে গেছে। সেই মিষ্টি জল বনবিভাগের কর্মী, জেলে ছাড়াও বাঘ, হরিণ সহ বিভিন্ন প্রাণীরা পান করে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে জলের তোড়ে অনেক গ্রাম ভেসে যায়। গোসাবা, কুলতলি সহ একাধিক এলাকায় দেখা গেছে বাঁধ ভাঙার ছবি। উঁচু জায়গার খোঁজে হরিণ গুলি বাইরে বেরিয়ে আসে। প্রতিকূলতার মধ্যেও হরিণ গুলিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে সেগুলিকে বনদপ্তর এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে দুটি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে। জানা গেছে মৃত হরিণ দুটি স্ত্রী প্রজাতির।তবে এখনও পর্যন্ত আর কোনও প্রাণীর দেখা মেলেনি। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বনকর্মীরা নিরাপদে থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন বিভাগের ৯টি জেটি, ১টি স্টাফ ব্যারাক এবং ২টি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গেছে।